ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামি বিপিএলে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের এক ওভার থেকে নিয়েছিলেন ৩২ রান। তার কিছুদিন আগেই সাউথ আফ্রিকা সফরে এক ওভারে ডেভিড মিলার নিয়েছিলেন ৩১। ডেথ ওভারের বোলিং নিয়ে এ তরুণের নামের পাশে যে কলঙ্ক লেপটে গিয়েছিল, সেটার কিছুটা হলেও মোচন করেছেন শুক্রবার। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে শেষ ওভারে ১৩ রান ডিফেন্ড করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের এ পেসার।
৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে সাইফউদ্দিন হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। অনুমিতভাবেই সংবাদ সম্মেলনে আসেন এ তরুণ। শুরুতেই মনে করিয়ে দেয়া হয় পচেফস্ট্রুমের দুঃসহ স্মৃতি। যে ম্যাচে ‘কিলার’ মিলার ঝরিয়েছিলেন ছক্কার বৃষ্টি।
এ প্রসঙ্গে একটু থেমে কঠিন প্রশ্নের সরল উত্তর দিলেন সাইফউদ্দিন, ‘আমি প্রেস কনফারেন্সে আসলেই আপনারা সবাই মিলারের কথা বলেন। স্বাভাবিক, ক্রিকেটে যেটা চলে গেছে সেটা তো চলেই গেছে। আমি নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছি আজকের ম্যাচে। আমি পারি সেটা আজ করে দেখিয়েছি। সামনে এমন সুযোগ পেলে চেষ্টা করবো আজকের মতো দলকে জেতানোর।’
নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে দলে থাকা অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের বোলিংয়ে দেখা যাচ্ছে উন্নতির ছাপ। বিপিএলে ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। আছেন সেরা পাঁচের মধ্যে। ইকোনমি রেট ৭.২৬। এ তরুণ জানান অতিরিক্ত কিছু করে দেখানোর প্রয়াস থেকেই আসছে সাফল্য।
‘আমরা যারা ক্রিকেটার, যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এদের মধ্যে কেউ তারকা, গড়পড়তা হলে কোনো দাম নেই। অন্য খেলোয়াড় থেকে অতিরিক্ত অনেককিছু দেখাতে হবে। এটা আমি মাথায় নিয়েই বোলিং করি। কারণ আমাকে কুমিল্লা অনেক গুরুত্ব দেয়, সেই গুরুত্বটা সবসময় ধরে রাখার চেষ্টা করি। আর আমি উপভোগ করি চাপের মধ্যে বল করতে।’
ম্যাচের মধ্যেই চোট পেয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। সেটি নিয়েই খেলে গেছেন পুরো ম্যাচ। ব্যথায় দমে না যাওয়ার পেছনে দলের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা জানালেন এ ক্রিকেটার।
‘কুমিল্লা (ভিক্টোরিয়ানস) আমার ঘরের মতই। আমাকে যখন কেউ চিনত না অনূর্ধ্ব -১৯ থেকে, তখন ওরা আমাকে পিক করে। সুযোগ দেয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। শুরুতে ভালো করিনি তবুও ম্যাচের পর ম্যাচ সুযোগ দিয়েছে। আজ আমি সাইফউদ্দিন বিপিএলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। এই জন্য সামান্য ব্যথা পেলেও চেষ্টা থাকে টিমের জন্য পারফর্ম করার। সামনে সুযোগ হলে আবারও করব।’