নড়াইল থেকে মধু সরকার: নড়াইলে হাজারো জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
তার নড়াইল যাওয়ার খবরে লোহাগড়া উপজেলার কালনাঘাট থেকে নড়াইল শহর পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে শনিবার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হাজার হাজার নারী-পুরুষের অপেক্ষা করে। বিশেষ করে সেখানে ছিল মাশরাফী ভক্ত তরুণদের উপচেপড়া ভিড়। তাদের সবারই একটাই লক্ষ্য, নড়াইল তথা দেশের গর্ব মাশরাফীকে এক নজর দেখা।
এর আগে মাশরাফীকে নড়াইলের মানুষ অন্যভাবে দেখলেও। এবার তাকে সাদরে গ্রহণ করেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে। নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর এই প্রথম তিনি নড়াইলে পা রাখলেন । এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর মাশরাফী ঢাকার সুধাসদন থেকে প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লোহাগড়া-নড়াইলবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।
শনিবার সকালে মাশরাফী ঢাকা থেকে সড়কপথে কালনাঘাট এবং লোহাগড়া হয়ে নড়াইল পৌঁছান। তার আগমনের খবর শুনে সকাল থেকে শত শত মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ, বিভিন্ন যানবাহনে এমনকি পায়ে হেঁটেও ভকক্তরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কালনাঘাট পৌঁছান।
অনেক অপেক্ষার পর মাশরাফী বেলা আড়াইটার দিকে প্রাইভেটকারে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির কালনাঘাটে পৌঁছান। এরপর বিশেষভাবে সজ্জিত নৌকায় মধুমতি নদী পার হন। বেলা ৩টার দিকে আওয়ামী লীগের আয়োজনে লোহাগড়া পাড়ের কালনাঘাটে স্থাপিত মঞ্চে জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেন তিনি।
বক্তব্যে মাশরাফী বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। আমার প্রতীক নৌকা। এই নৌকা প্রতীকে আপনারা আমাকে যোগ্য মনে করলে ভোট দেবেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন।’
‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনারা শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখে নৌকা মার্কায় ভোট দিন।’’
জয়বাংলা- জয়বঙ্গবন্ধু বলে তিনি বক্তব্য শেষ করেন। সেখানে বক্তব্য শেষে নড়াইলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মাশরাফীকে বিজয়ী করার ব্যাপারে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় কালনাঘাটে উপস্থিত ছিলেন, মাশরাফীর বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, জেলা ক্রীড়াসংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নড়াইল পৌরসভার মেয়র মো: জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম, আমাদা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাধন, লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার নজরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা সদর উদ্দিন শামীম, মুন্সী শাহীন আহম্মেদ ও মাসুম প্রমুখ।