বাঙালির গর্বের, গৌরবের মাস মার্চ। এই মাসেই ঘোষিত হয় বাঙালীর স্বাধীনতা, বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির মরণপণ লড়াইয়ে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশে হরতাল, বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে চট্টগ্রামে সংঘর্ষ, অগ্নিকান্ড ও গুলিতে চার’শ মানুষ হতাহত হয়। এরমধ্যেই ইয়াহিয়া ১০ মার্চ জাতীয় পরিষদের দুই প্রধান নেতা বঙ্গবন্ধু ও ভুট্টোসহ ১২ নেতার বৈঠক আহ্বান করে। পল্টনের জনসভায় বঙ্গবন্ধু সামরিক শাসকদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার শর্ত দেন। ঘোষণা দেন অসহযোগ আন্দোলনের। তিনি বলেন, বাংলার মানুষ কর খাজনা বন্ধ করে দেবে।
সমাবেশে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন ছাত্র নেতা শাজাহান সিরাজ। মঞ্চে ছিলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি, নুরে আলম সিদ্দিকী। ইশতেহারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমার সোনার বাংলা গানটি জাতীয় সঙ্গীত এবং বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করা হয়।
কারফিউ ভেঙ্গে ঢাকায় বিক্ষোভ করে হাজার হাজার মানুষ। সামরিক জান্তার গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা ফারুক ইকবালসহ অনেকে। সান্ধ্য আইন জারি করা হয় চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুরে।
বাংলার অবস্থা সরেজমিনে দেখে যাওয়ার জন্য সামরিক জান্তা ইয়াহিয়ার প্রতি আহ্বান জানান মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
অারও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: