বিপিএলে বিদেশি কোচদেরই প্রাধান্য থাকে সবসময়। এবার সেটি আরও বেশি। স্থানীয়দের মধ্যে হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কেবল মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে দুইবার চ্যাম্পিয়ন করিয়ে পেয়েছেন প্রাপ্য সম্মান। ঢাকা প্লাটুনের হেড কোচ করা হয়েছে তাকে।
দেশি হেড কোচদের একমাত্র প্রতিনিধি হওয়ায় ভালো করার তাগিদ বেশি অনুভব হচ্ছে সালাউদ্দিনের। বিদেশি নামিদামী কোচদের মাঝে দেশিদেরও যেন একটা মূল্যায়ন থাকে, ভবিষ্যতে যেন অন্যদেরও কাজ করার রাস্তা তৈরি হয় সেদিকে চোখ রাখবেন বলে জানালেন তিনি।
‘যদি বলেন দেশি কোচ, সেক্ষেত্রে আমার দায়িত্বটা একটু বেড়ে গেল। কারণ সব দলেই বিদেশি কোচ আছে। যেহেতু আমি একাই দেশি কোচ, যদি এখানে ভালো করি, অন্য যারা দেশি কোচ আছে তাদের সুযোগ আসবে। একারণে মনে করি আমার ভালো করা উচিত। চ্যালেঞ্জ তো মনে করি প্রতিটি টুর্নামেন্টেই থাকে। চ্যালেঞ্জ ছাড়া আপনি ভাবতেও পারবেন না।’
১১ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে বিপিএল। কোনো দলই আনুষ্ঠানিকভাবে অনুশীলন শুরু করেনি এখনো। ঢাকার কোচ সালাউদ্দিন নিজস্ব তাগিদে নেমে পড়েছেন মাঠে। দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হককে নিয়ে বৃহস্পতিবার মিরপুর একাডেমি মাঠের নেটে কাজ করেছেন।
কাগজে-কলমে সালাউদ্দিনের দলটা এবারের বিপিএলে সবচেয়ে শক্তিশালী। শিরোপার অন্যতম দাবিদার তারা। তামিম-মুমিনুল ছাড়াও ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, এনামুল হক বিজয়, রকিবুল হাসান, শুভাগত হোম, থিসারা পেরেরা, ওয়াহাব রিয়াজ, শহিদ আফ্রিদির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে তাদের।
বড় বড় নাম থাকলেও তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে চান না সালাউদ্দিন। প্লাটুন কোচ মনে করেন একমাত্র সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে সাফল্য এনে দিতে।
‘দেখেন, প্রতিটা খেলোয়াড়েরই ভূমিকা থাকে। যারা আসে তাদের সবার আলাদা আলাদা ভূমিকা থাকে। টিমের বাইরে যারা তাদেরও। কেননা তারা যদি সমর্থন না করে আপনি পারবেন না। ব্যক্তি এখানে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। এমনকি যারা ব্যবস্থাপনায় থাকে তাদেরও ভূমিকা থাকে। সবারই সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে। এছাড়া ভালো করা সম্ভব না।’