চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আমার উপর শারীরিক মানসিক অত্যাচার চলছে: অধ্যাপক শিবলী

নিজের উপর অর্পিত কাজের দায়িত্ব সামলাতে শারীরিক মানসিক অত্যাচারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম।

সম্প্রতি অনৈতিকভাবে ডাকসুর ৮ নেতাসহ ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করায় জড়িত থাকার অভিযোগে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

সে বিষয়ে নিজের বক্তব্য জানাতে মঙ্গলবার বিকালে ব্যবসায় অনুষদের প্রফেসর হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রকাশিত পত্রিকার খবরটি পড়লে মনে হয় বাহিরের ছাত্র-ছাত্রীকে ডাকসু নির্বাচন করার জন্য বেআইনীভাবে ঢাবিতে ভর্তি করানো হয়েছে, যা একেবারেই সঠিক নয়। এখানে আলোচিত ছাত্র-ছাত্রীরা পূর্বে থেকেই ঢাবির সাধারণ পদ্ধতিতে ভর্তি হওয়া গ্র্যাজুয়েট। তাই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর একবার ভর্তি হওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। এখানে কোন প্রকার অনিয়ম করা হয়েছে বা কোন বহিরাগতকে ডাকসু নির্বাচনে আনা হয়েছে বিষয়টি সঠিক নয়।’

সেখানে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যাওয়া কয়েকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে প্রশ্ন করা হয় ‘ডাকসুতে কোষাধ্যক্ষ পদ পাওয়ার জন্যই কি ছাত্রলীগের নেতাদের ভর্তির সুযোগ দিয়েছেন?

প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক শিবলী বলেন, ‘আমি কখনই কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব নিতে চাইনি। উপাচার্য আমাকে বারবার অনুরোধ করেই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি অনেক অনুরোধ করেছি দায়িত্ব না দেওয়ার জন্য। কিন্তু উনি (উপাচার্য) শোনেননি।’

‘আমার কাজের ক্ষেত্র অনেক বেশি। দিনে ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। উপাচার্য ৭ কলেজের দায়িত্বও আমাকে দিয়েছেন। আমি রাত ১০-১১ টার আগে বাসায় ফিরতে পারিনা। আমার উপর শারীরিক মানসিক অত্যাচার চলছে।’

প্রসঙ্গত অধ্যাপক শিবলী একাধারে ব্যবসায় অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, সিন্ডিকেট সদস্য ও সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি, সাত কলেজের ভর্তি কমিটির প্রধান সমন্বয়ক এবং ডাকসুর কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘তাঁর দক্ষতা দেখেই তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সবাইতো কাজ করতে পারে না। সবাই দায়িত্ব পালন করতে পারে না। এখানে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সুযোগ নাই। তার কাজ করার সক্ষমতা আছে বলেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’