‘…বাবু বেঁচে থাকলে বাবুর বয়স হতো পঁয়তাল্লিশ। ওই বয়সের কাউকে দেখলে আমি তাকিয়ে থাকি। বাবুকে খুঁজি। ওর চেহারা কেমন হতো? ও সিঁথি কোন দিকে করতো? ওর কি গোঁফ থাকতো? ওর কি বিয়ে হতো? বাবুর বাবুটা কেমন হতো…!’ টিভির পর্দায় ভেসে ওঠা বিজ্ঞাপনের দৃশ্য আর বর্ণনা দর্শক মাত্রই ফিরিয়ে নিয়ে গেছে একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই উত্তাল দিনগুলোতে। যখন একটি স্বাধীন দেশের আশায় সৃষ্টি-সুখের-উল্লাসে অকাতরে প্রাণ দিয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। কিছু প্রতিশ্রুতি আর অঙ্গীকারকে সামনে রেখে প্রাণের বিনিময়ে অর্জন করেছে স্বাধীন বাংলাদেশ। বিজ্ঞাপনটি মনে করিয়ে দিয়েছে কতটা মূল্য আমরা দিয়েছি একাত্তরে আমাদের মুক্তির সংগ্রামে।
বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য যদি হয় ভোক্তার আবেগ স্পর্শ করে পণ্যের প্রচার; তাহলে বলাই যায় প্রচারের আগেই বিজ্ঞাপনটির সাফল্য নিশ্চিত ছিল। কারণ যারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করেন, দেশকে ভালবাসেন, তাদের কাছে এখনও সর্বোচ্চ আবেগের জায়গা মুক্তিযুদ্ধ। মনে রাখতে হবে, মূলধারার বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয় পণ্যের বাজারজাত করণের স্বার্থে। বিনিয়োগকারী বিজ্ঞাপনে বিনিয়োগ করেন ব্যবসায়িক বিবেচনায়। সামাজিক ও ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতার স্থান এখানে কোথায়, সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। সে বিবেচনায় না যেয়েও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রচারিত বিজ্ঞাপনগুলোর বাণিজ্যিক সাফল্য বিচারে বলা যায়, বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ উপেক্ষা করার নয়। আর সে সাফল্য সামনে রেখেও একটি প্রশ্নের সামনে আজ আমাদের দাঁড়াতে হবে যে, গণমাধ্যমের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ বিজ্ঞাপনে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কতটা এসেছে বা এলেও তা কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধের যে প্রতিশ্রুতি, অঙ্গীকার ছিল তার কথা কতটা বলছে আমাদের বিজ্ঞাপন?
পণ্যের বিজ্ঞাপনের ইতিহাস সুপ্রাচীন, এক কথায় সভ্যতার সমান্তরাল। প্রাচীন মিশরেও প্যাপিরাসে ছেপে বিজ্ঞাপনের প্রচলন ছিল। চতুর্দশ শতকে জার্মানিতে গুটেনবার্গ ও ইংল্যান্ডে ক্যাক্সটনের ছাপাখানা বিজ্ঞাপন শিল্পে যোগ করে নতুন মাত্রা। ১৪৭৭-এ ক্যাক্সটনের ছাপা ‘দ্য পাইস অব সলিসবুরিকে’ বলা হয় ইংল্যান্ডে ছাপা প্রথম বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপন শিল্পকে নতুন রূপ দেন অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দশকে ফ্রান্সে জুলেস সেরেত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থমাস জে ব্যারেট এবং এ্যালবার্ট ল্যাস্কার।
টেলিভিশনে আবিষ্কারের পর আরেকবার বদলে যায় বিজ্ঞাপন জগতের চালচিত্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ জুলাই ১৯৪১ সালে ‘বুলোভা ওয়াচ’-এর বিজ্ঞাপনটি টেলিভিশনের ইতিহাসে প্রচারিত প্রথম বিজ্ঞাপন। আর যুক্তরাজ্যে প্রথম ১৯৫৫ সালে গিবস এসআর টুথপেস্টের, আইটিভি’তে। ততদিনে আমাদের এ অঞ্চলেও বিজ্ঞাপন শিল্প প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে শুরু করেছে। ঢাকা কেন্দ্রিক প্রথম বিজ্ঞাপনী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন গুলাম মহিউদ্দিন ১৯৪৮ সালে। এছাড়াও স্টার অ্যাডভার্টাইজিং বা জহির রায়হানের নবংকুরসহ আরও কিছু সংস্থার হাত ধরে এগিয়েছে মুক্তিযুদ্ধপূর্ব এ অঞ্চলের বিজ্ঞাপন শিল্প।
রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণা বিজ্ঞাপনে রূপ লাভ করে এ্যালবার্ট ল্যাস্করের হাত ধরে। সে ছবিটি আমরা দেখেছি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন। সেসময় প্রবাসী বাংলাদেশীরা নানাভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে পোস্টার-লিফলেট কিংবা প্রবাসী সরকারের তহবিল গঠনের জন্য বিজ্ঞাপনী প্রচার চালিয়েছেন। পিছিয়ে ছিলেন না আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মহান সুহৃদ বিদেশী বন্ধুরাও। এখানে জর্জ হ্যারিসন, রবি শংকর আয়োজিত কনসার্ট ফর বাংলাদেশ-এর বিজ্ঞাপনী প্রচার আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনে যে ভূমিকা রেখেছে তা স্মরণ করতে হয় কৃতজ্ঞতার সঙ্গে।
অপরদিকে নিশ্চুপ ছিল না হানাদার পাকিস্তানিরাও। তাদের গণমাধ্যম ছেয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বিজ্ঞাপনে। ধর্মের অপব্যাখ্যা করে তথাকথিত ‘জিহাদে’ অংশগ্রহণ আর জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিলে অনুদানের আহ্বান জানিয়ে মেতে ওঠে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায়। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বিজ্ঞাপন প্রচার করে পাকট্রাক, রিজভী ব্রাদার্স, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, আফতাব কামার শফিক অ্যান্ড ব্রাদার্স, মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংক লি., ইউনাইটেড ব্যাংকের মতো বহু প্রতিষ্ঠান। তাদের এই প্রচার-প্রচারণা এমনকি ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। সাথে পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা তো ছিলই।
যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে ধ্বংসপ্রাপ্ত অন্যান্য খাতের মতোই বিজ্ঞাপন শিল্পও পুনর্গঠিত যাত্রা শুরু করে। শুরুটা রশিদ আহমেদের কারুকৃতের হাত ধরে। সঙ্গে যোগ হয় কবি ফজল শাহাবুদ্দিনের নান্দনিক, ইস্ট এশিয়াটিক, এ্যাডকমের মতো প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সরকারও কিছু বিজ্ঞাপনী সংস্থা অধিগ্রহণ করে যার মধ্যে কোহিনুর অন্যতম। সে সময় ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমের এতটা প্রসার না থাকায় বিজ্ঞাপন মূলত ছিল পত্রপত্রিকা, লিফলেট, পোস্টার, নিয়ন সাইন নির্ভর। শিল্প প্রতিষ্ঠান তেমন ভাবে গড়ে না ওঠায় ও ব্যবসা বাণিজ্যের সীমাবদ্ধতার কারণে বিজ্ঞাপনের তেমন প্রসারও ঘটেনি।
মুক্তিযুদ্ধ হয়ে ওঠে দিবসভিত্তিক বিজ্ঞাপনের বিষয়। বিশেষ দিবস যেমন স্বাধীনতা বা বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করে বিজ্ঞাপন প্রচারের যে ধারা শুরু হয় এখনও আমরা সেখান থেকে কতটা বেরিয়ে আসতে পেরেছি সে প্রশ্ন করাই যায়। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর শুরু হয় ইতিহাস বিকৃতির নতুন অধ্যায়। বলাই বাহুল্য বিজ্ঞাপনের মতো একটি শক্তিশালী মাধ্যম রেহাই পায়নি ইতিহাস বিকৃতির খলনায়কদের হাত থেকে। মিথ্যা সংবাদে তিতিবিরক্ত Thomas Jefferson এর বিখ্যাত উক্তি The most truthful part of a newspaper is the advertisement কে প্রহসনে পরিনত করে, সরকারি বিশেষ দিবসগুলোর ক্রোড়পত্র যেন মেতে ওঠে স্বাধীনতার নতুন ঘোষক প্রতিষ্ঠায়। সঙ্গে যোগ দেয় কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।
ইতিহাসের সেই অন্ধকার অধ্যায়ে বিজ্ঞাপনে মুক্তিযুদ্ধ বলতে এসেছে কিছু খণ্ডিত চিত্র। এও সত্য যে, কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রাষ্ট্রশক্তির প্রভাবের বাইরে যাওয়া তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে দুষ্কর। এর মাঝেই পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে বিজ্ঞাপন জগতের চিত্র। প্রযুক্তি এবং নতুন প্রজন্মের একঝাঁক নতুন নির্মাতা এই পরিবর্তনের নিয়ামক শক্তি। পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন, রেডিও পেরিয়ে আমরা প্রবেশ করেছি ইন্টারনেট যুগে। অন্যদিকে গলির মোড়ে পুরনো স্টিলবোর্ড বা নিয়ন সাইনের বদলে এসেছে ডিজিটাল বোর্ড। সড়কের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ঠাঁই করে নিয়েছে বাসাবাড়ির ছাদে। একাধিক রেডিও, টিভি চ্যানেল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন গণমাধ্যমে বিকশিত হয়েছে বিজ্ঞাপন বাজার। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পরিধি। এই শিল্পের বাজার ছাড়িয়ে গেছে হাজার কোটি টাকা। সরকারের পাশাপাশি পিছিয়ে নেই বেসরকারী খাত।
বহুজাতিক বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো আমাদের বাজারে পা রেখেছে সেই ’৮০-এর দশকে লিভারের হাত ধরে। বিকাশমান বিজ্ঞাপন শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি আশাজাগানিয়া হলেও এ প্রশ্ন উঠতেই পারে, এখানে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কতটা প্রতিফলিত। অন্তত মূল ধারার বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে? সরকারি বিজ্ঞাপনে মুক্তিযুদ্ধ এখনও বিশেষ দিবসভিত্তিক। ইতিহাস বিকৃতির নায়ক বা তার দোসরেরা ক্ষমতায় থাকতে তাদের কাছে খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না। তাদের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা সুবিধাভোগী বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকৃত অর্থে বিজ্ঞাপনে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে তাও দুরাশা। কিন্তু আজ যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি ক্ষমতায় তখন এটুকু আশা কি আমরা করতে পারি না যে, প্রতিটি সরকারি বিজ্ঞাপনে ‘আসুন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ি’ স্লোগানটি যোগ হবে?
সরকারের গতানুগতিক ধারার বিজ্ঞাপন ছেড়ে আসি বেসরকারি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে। মূল ধারার বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে আমরা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিছু সুনির্মিত বিজ্ঞাপন দেখেছি বিগত কিছুদিনে। তুলনামূলক বিচারে বলা যায়, হাতেগোনা কয়েকটি বিজ্ঞাপন বাদে এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের উপস্থিতি আশাপ্রদ নয়। কেন এই দৈন্য? যে মুক্তিযুদ্ধের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ, বিজ্ঞাপন নির্মাতার কাছে এরচেয়ে কাম্য বিষয় আর কী হতে পারতো? একটি উত্তর হতে পারে ইতিহাস বিকৃতি বা খণ্ডিত ইতিহাস এখানে প্রভাব ফেলেছে। এ দেশেরই এক শ্রেণীর মানুষ আজ মুক্তিযুদ্ধকে করে তুলেছে বিতর্কিত। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সে বিবেচনায় বিষয়টি এড়িয়ে চলে। বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে দ্বিতীয় প্রশ্নটি সামনে আনলে। মহান শহীদদের ত্যাগের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখেই বলছি মুক্তিযুদ্ধ কি কেবল আত্মত্যাগেই সীমাবদ্ধ? সে আত্মত্যাগের পেছনে কিছু অর্জনের প্রত্যাশা কি ছিল না?
অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র নির্মাণ-যেখানে থাকবে আইনের শাসন, সবার জন্য শিক্ষা, মানুষে মানুষে থাকবে না প্রভেদ-কি মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল না? আজ সরকারি-বেসরকারি উভয় বিজ্ঞাপনে তাকিয়ে দেখুন, এখনও বিষয়টি ‘বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলিতে,’ সীমাবদ্ধ। কেন আমরা বিজ্ঞাপনে মুক্তিযুদ্ধের সেই অঙ্গীকারের ছবি দেখি না? এখানেই বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টি সামনে আসে। তারা বাজার জরীপ করেন। এখানে জাতীয় নির্বাচনের একটি চিত্র হয়ত তারা বিবেচনায় নেন। এখনও ইতিহাস বিকৃতির খলনায়ক ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির রয়েছে বড় একটি ভোট ব্যাংক।
কাজেই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ছায়ায় রেখে ‘বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জালি,’-তে সীমাবদ্ধ থেকে বিজ্ঞাপনদাতারা যেমন ভোক্তার আবেগ ব্যবহার করেন বাণিজ্যিক স্বার্থে; তেমনি সামাজিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের আত্মতুষ্টিতে ভোগেন। আরেকটি বিষয় যে বা যারাই ক্ষমতায় থাকুক, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সবার জন্য একমুখী শিক্ষা, মানবাধিকার, সামাজিক সাম্য ইত্যাদির প্রতি তাদের আস্থা এখনও প্রশ্নাতীত নয়। সে বিবেচনায় বিজ্ঞাপনদাতা ও নির্মাতারা হয়ত বিতর্কিত হতে চান না, পড়তে চান না কোন শ্রেণীর রোষানলে। যদি সেটাই সত্য ধরে নেই, ভাবতে কষ্ট হয় মুক্তিযুদ্ধের ওপর দাঁড়ানো বাংলাদেশে এটা সম্ভব!
সময় বদলেছে। নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের কাছে ইতিহাসের দাবি আজ বিজ্ঞাপনে মুক্তিযুদ্ধের যথাযথ প্রতিফলন এবং তা কেবল ‘বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি,’-তে সীমাবদ্ধ থাকা যথেষ্ট নয়। ধর্মনিরপেক্ষ এক অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ছিল মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার। আমরা দেখতে চাই জেগে ওঠা মৌলবাদী দানবের বিরুদ্ধে কথা বলছে আমাদের বিজ্ঞাপন। বিষয়টি হতে পারে এমন- রাজধানীসহ প্রতিটি শহরের মোড়ে উড়বে একটি বেলুন। যার বিজ্ঞাপনের ভাষা হবে; ‘ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার। আসুন সে অঙ্গীকার পূরণে সবাই মিলে প্রতিরোধ করি মৌলবাদ।’ যে বিজ্ঞাপন ছেয়ে যাবে রেডিও, টিভি, অনলাইন, বিল বোর্ড, পোস্টারে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সবখানে।
এভাবেই আমাদের বিজ্ঞাপনকে বলতে হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি অঙ্গীকারের কথা। এভাবেই সম্ভব মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারানো শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন। নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের কাছে এটা আজ ইতিহাসের দাবি, মুক্তিযুদ্ধের কাছে এ তাদের দায়।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)।