ব্যান্ড সংগীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গেল ডিসেম্বরেই ‘ঐক্য চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’ এ আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন কিংবদন্তী শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তখনই জানিয়েছিলেন, নিয়মিত আর গান নয়, সব ছেড়ে ফিরে যাচ্ছেন গ্রামে। সেখানেই নতুন বাস গড়ে তুলবেন তিনি, ভিন্ন যাপন! কথা মতো সত্যি সত্যি তিনি এখন গ্রামে আছেন।
কুয়াশায় ঢাকা গ্রাম, কাকডাকা ভোরে ফসলের আঁকাবাঁকা আলপথ, কিংবা সবুজ ধানখেতে মুক্তাদানার মতো শিশিরের ফোঁটা, ছোট ছোট ঘর, বাজার কিংবা সাদামাটা কিছু মুখ- এখন ফেরদৌস ওয়াহিদের নিত্যদিনের সঙ্গী। নতুন পরিবেশ কেমন কাটছে তার দিনকাল, জানতেই মুঠোফোনে যোগাযোগ। শুরুতেই নিমন্ত্রণ, একবার তার গ্রামে এসে ঘুরে যাওয়ার। নিজের পুকুরের টাটকা মাছ খাওয়াবেন! বাকি কথার কিছুটা থাকলো এখানে:
গত বছরেই শহর ও গান ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিলেন? এখন কোথায় আছেন?
গানতো এমনিতেই আমি করি না বাইরের কারো। শুধু হাবিবের গানগুলো করতাম। তার গান হয়তো করবো, তাও ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে- ভিডিওতে আর আসবো না। কোনো কমার্শিয়াল শো তে আর যাবো না। আর শহর তো ছেড়েই দিয়েছি, গ্রামেই থাকছি।
মানে হাবিবের বাইরে অন্য কারো গানে শ্রোতা দর্শক আর আপনাকে পাবেই না?
ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে হাবিবের মৌলিক গান কিংবা বিজ্ঞাপনে কাজ করবো শুধু। গতমাসেও আলিশা মার্টের একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি, খুব সাড়াও পেয়েছি। খুব এনজয় করেছি বিজ্ঞাপনটা করে। আমি যে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেই ঘোষণার ব্যাত্যয় হবে শুধু কেউ যদি অতিরিক্ত টাকা দেয়। কারণ গ্রামে আমার একটা ফাউন্ডেশন আছে গরীব মানুষদের জন্য, এটার নাম ওয়াহিদুদ্দিন জনকল্যাণ ট্রাস্ট। এটা আমার বাবার নামে করা।
গ্রামে কেমন কাটাচ্ছেন?
খুব ভাল লাগছে। এখানে এসে জমি জমা দেখতে শুরু করেছি। নিরেট গ্রামের মানুষ এখন আমি। অকৃত্রিম সুখ এখানে।
নাগরিক জীবনে অভ্যস্ত মানুষ আপনি। হঠাৎ গ্রামে গিয়ে মানিয়ে নিতে পারছেন তো?
খুব চমৎকার আছি এখানে এসে। আমি বলবো, যাদের সুযোগ আছে অন্তত শহরের কাছাকাছি মুক্ত অঙ্গন, মুক্ত বাতাস নেয়ার- তাদের প্রতি অনুরোধ করবো যেন মাসে ৭দিন হলেও গ্রামে থাকেন।
আপনার গ্রামটা কোথায়?
এটা ঢাকার অদূরেই। শ্রীনগর বলে একটা এলাকা।
ঢাকায় কি আসেন না?
একদম কম, কাজ ছাড়া একেবারেই আসি না।
৭ তারিখতো হাবিব ওয়াহিদের বিয়ে হলো। আপনি আসেননি?
৭ তারিখ বিয়ে হয়েছে নাকি? আমি জানি না, আমাকে সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাতে ফোন করে হাবিব বললো সে বিয়ে করেছে।
আপনি যাননি কেন?
আমিতো এখন গ্রামে থাকি।
ছেলে মন খারাপ করেনি, আপনি বিয়েতে না যাওয়ায়?
জানি না, এসব বিষয়ে আমাদের খুব কম কথা হয়। একে অপরের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমরা মধ্যস্থতা করি না। সে ডাকলে আমি কখনো যাই, কখনো যাই না- আবার আমি ডাকলে সে কখনো আসে, কখনো আসে না। এসবে আমরা মাইন্ড করি না। মানে পারসোনাল বিষয়গুলো যার যার তার তার।