রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘আমরা শান্তির পক্ষে, যুদ্ধের পক্ষে না। তবে এখন আমাদের জোর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
ওই পোস্টে পুতিন বলেন, আমরা ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা অবহেলার মুখোমুখি হয়েছিলাম।
মিনস্ক চুক্তি অনুসারে, আমরা ইউক্রেনকে দোনবাসের প্রজাতন্ত্রগুলোকে একত্রিত হওয়ার করার সুযোগ দিয়েছি। আমরা ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করিনি। গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাই এটি আমাদের কাছে ফিরে এসেছে। আমরা দোনবাসে যুদ্ধ করিনি – এটি ছিল ইউক্রেনের গৃহযুদ্ধ।
পুতিন বলেন, কিন্তু এখন ইউক্রেন আমাদের স্বীকৃত দোনবাস প্রজাতন্ত্রের ওপর আক্রমণ শুরু করেছে এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে রাশিয়াকে হুমকি দেওয়ার জন্য পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
পুতিন আরও বলেন, আমরা ইউক্রেনের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে মুক্ত করতে সাহায্য করব। আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সীমান্ত থেকে পিছু হটে এবং ইউক্রেনকে তার পুতুল মনে করা বন্ধ করুক। আমাদের অপারেশন হলো শান্তিরক্ষা এবং ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের নাগরিকদের কেউ যেন কষ্ট না পায়! আমরা শান্তির পক্ষে! যুদ্ধ না! কিন্তু আমাদের জোর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আলোচনায় বসতে রাজি রাশিয়া
সংবাদ সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধ ঘোষণার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ইউক্রেনকে আলোচনায় বসার বার্তা দিয়েছে মস্কো।রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন, ইউক্রেন যদি অস্ত্র ফেলে দেয় তাহলে তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
ইউক্রেন সংকট সমাধানে পুতিনকে চীনা প্রেসিডেন্টের ফোন
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানায়, শুক্রবার বিকেলে পুতিনের সঙ্গে ফোনে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সংলাপের মাধ্যমে ইউক্রেন সংকট সমাধানের কথা বলেছেন।
পুতিনের সঙ্গে আলাপকালে শি বলেন, ‘শীতল যুদ্ধের মানসিকতা ত্যাগ করা, সমস্ত দেশের যুক্তিসঙ্গত নিরাপত্তা উদ্বেগকে গুরুত্ব দেওয়া ও সম্মান করা এবং আলোচনার মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ, কার্যকর ও টেকসই ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গঠন করা গুরুত্বপূর্ণ’।