কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর খ্যাত কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা স্বাধীনতার পক্ষেও নাই, বিপক্ষেও নাই, আমরাই স্বাধীনতা। ড. কামাল, জিয়াউর রহমান, আ স ম আব্দুর রব, কর্নেল অলি আহমেদ আর কাদের সিদ্দিকী যেখানে সেখানে পক্ষ হওয়া লাগে না৷ আমরাই স্বাধীনতা৷
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন, জিয়াউর রহমান, কাদের সিদ্দিকীরা যেখানে স্বাধীনতাও সেখানে।
‘আওয়ামী লীগ অবৈধ সরকার। তারা ভোট না নিয়ে ক্ষমতায়। তারাই স্বাধীনতার বিপক্ষে।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, একটি দল রাজনৈতিকভাবে কতোটা দেউলিয়া হলে সিনেমার নায়ক নায়িকাদের নির্বাচনী প্রচারণায় নামে৷ দেশের মানুষ তাদেরকে সিনেমা দেখতে পছন্দ করে, নির্বাচনী প্রচারণায় নয়।
তিনি বলেন, এই ভোট যুদ্ধে ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ কোটি মানুষ ধানের শীষের পক্ষে। জনগণ ভোট দিতে সকাল সকাল যাবে৷ দেশের মানুষ ১৯৭০ সালে ভোট দিতে ভুল করেনি, ২০১৮ সালেও ভোট দিতে ভুল করবে না।
সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী ব্যতিক্রম। বাংলাদেশ জন্মের আগে সেনাবাহিনীর জন্ম। আজকে সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে৷ তাদের কাছে মানুষ কিছু চায় না৷ মানুষ তাদের কাছে নিরাপদে ভোট দেয়ার সুযোগ চায়। সেনাবাহিনী অন্য দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে৷ এখন আর আমাদের দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব তাদের।
তিনি বলেন, যদি সেনাবাহিনী তার ন্যায়নীতি বজায় রাখতে পারে তাহলে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট বিপ্লব হবে।
আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৩০ ডিসেম্বর আমাদের জন্য লড়াই। এই লড়াইয়ে আমরা জিতব, যদি আমরা সবাই দৃঢ় থাকি৷
তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী নেমেছে আজ থেকে। আমাদের শেষ লড়াইয়ে সামরিক বাহিনী যেন নিরপেক্ষ থাকে। আমরা সেই আশা করবো। তারা যদি নিরপেক্ষ থাকে তাহলে মাঠে সরকার থাকবে না।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।