রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ যুদ্ধের পথে যাবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে আজকে যারা বলেন সরকারের কূটনৈতিক প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে, আমি বলবো এটা সঠিক কথা নয়। কারণ আজ পর্যন্ত এটি যে অবস্থায় পৌঁছেছে, তা শেখ হাসিনা সরকারে কূটনৈতিক প্রয়াস। মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক চাপ অনুভব করছে। মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার দায় নিতে হবে। আমরা যুদ্ধের পথে যাবো না, ঠান্ডা মাথায় কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছি।
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিআরটিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগ (সিবিএ) আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন: এই ব্যাপারে আমাদের মনে রাখতে হবে মিয়ানমারেরও অনেক শক্তিশালী বন্ধু আছে। বাস্তবতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। মিয়ানমার বন্ধুহীন এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এরপরও সব কিছু মিলিয়ে আজকে জাতিসংঘ, আমেরিকা, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের সমর্থন আদায়, শেখ হাসিনা যতটা কূটনৈতিক সফল্য। তবে এখনকার সমস্যা জটিল। এই জটিলতার মধ্যে বারবার যুদ্ধের উস্কানির মধ্যেও ঠান্ডা মাথায় শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবেশির সাথে আলাপ আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সীমান্ত খুলে দিয়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসের কোনো দেশের সীমান্ত দিয়ে এত রিফিউজি আশ্রয় দেয়নি। মানবতার মাতা শেখ হাসিনা, মানবতার সব দৃষ্টান্ত পেছনে ফেলে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। ১১ লাখ রোহিঙ্গা লালনপালনে আমাদের টুরিজম সেক্টর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদের ইকোলজি এফেক্ট হচ্ছে, আমাদের ইকোনমিক এফেক্ট হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ের ডেঙ্গু বিষয়ে তিনি বলেন: আমরা ডেঙ্গুকে ভুলে গিয়ে শোকের মাস পালন করছি না। আমার সবকিছু এক সঙ্গে করছি। এই শোকের আবহ যারা সৃষ্টি করেছে, এই শোকের মাস নিয়ে নিষ্ঠুর তামাশাও তারা করছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রথম দিকে প্রক্রিয়াটা একটু স্লো হলেও । বর্তমানে সরকারের সমন্বিত সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে৷
তিনি আরও যোগ করেন: এক মুহূর্তের জন্য ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ এবং এসিড নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সরকারের কোনো শাখা, কোনো প্রতিষ্ঠানের শৈথিল্য প্রদর্শনের নজির নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেই মনিটরিং করছেন। আমার শোকের মাসের কর্মসূচি পালন করছি এবং নিয়ন্ত্রণেও আমার সর্বাত্মক কর্মসূচি পালন করছি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূইয়া, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদসহ অনেকে।