গতি, সুইং, বাউন্স আর শর্ট বল- সবকিছুর সমন্বয়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের নাকাল করে ছেড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। ম্যাচ শেষে ক্যারিবিয়ান দলনায়ক জেসন হোল্ডার জানালেন, আক্রমণাত্মক খেলার কৌশল নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন তারা। আর কৌশলে শতভাগ সফল হয়েছে টিম ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শুক্রবার নটিংহ্যামে দ্বাদশ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে শুভ সূচনা করেছে উইন্ডিজ। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে পাকিস্তানকে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে দেন আন্দ্রে রাসেল, ওশানে থমাস ও হোল্ডাররা। পরে ২১৮ বল হাতে রেখেই সেই রান টপকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচ শেষে হোল্ডার বললেন, ‘আমি মনে করি আমাদের স্টাইল ছিল আক্রমণাত্মক হওয়া। যে দলের বিপক্ষেই খেলি না কেনো, আক্রমণাত্মক হতে চেষ্টা করি। উইকেট নেয়ার জন্য আমাদের এটির বিকল্প নেই।’
আধুনিক ক্রিকেটে সফল হতে দ্রুত উইকেট নেয়ার কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করিয়ে দিলেন হোল্ডার, ‘আমি মনে করি আধুনিক ক্রিকেটে যদি আপনি ইনিংসজুড়ে উইকেট নিতে না পারেন, তবে আপনাকে যথেষ্ট সংগ্রাম করতে হবে। সুতরাং, কিছু রান খরচ হলেও আমরা আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করেছি।’
আন্দ্রে রাসেল অসাধারণ দুটি বাউন্সে হারিস সোহেল ও ফখর জামানকে আউট করে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করে ফেলেন। সেখান থেকে সরফরাজের দলকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে দেননি থমাস ও হোল্ডার। থমাস চারটি ও হোল্ডার তিনটি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে লজ্জাজনক হার উপহার দিয়েছেন।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবশ্য কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে। আগামী ৬ জুন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ক্যারিবিয়ানরা। বিশ্বকাপের হট-ফেভারিট অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হলেও আক্রমণাত্মক খেলার বিকল্প নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের।