চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও অভিনয়শিল্পী আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক শোকবার্তায় তিনি এই শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
গণমাধ্যমে প্রেরিত শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বরেণ্য এই শিল্পীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। স্বীয় কর্মের মাধ্যমে তিনি মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
শুক্রবার দুপুর ২ টা ৫৭ মিনিটে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমজাদ হোসেন। বর্তমানে তার মরদেহ ব্যাংককের ওই হাসপাতালে রয়েছে।
সাজ্জাদ হোসেন দোদুল শুক্রবার রাত দশটার দিকে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, ইচ্ছে করলেই এখন আব্বাকে দেশে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। হাসপাতাল থেকে মরদেহ দেশে নিয়ে আসতে হলে নির্দিষ্ট প্রসেস মেইন্টেন করতে হবে। কিন্তু শনি ও রবিবার ব্যাংককে বন্ধ থাকায় এ সমস্ত প্রসেস করতে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে। তবুও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শিগগির বাবাকে দেশে নিয়ে আসতে।
কোথায় দাফন হবে, পারিবারিক ভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাতে এ বিষয়ে পারিবারিক সিদ্ধান্ত হলে শিগিগির গণমাধ্যমে আমরা জানিয়ে দেবো।
তার আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তায় ২৮ নভেম্বর রাতে আমজাদ হোসেনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংককে। সেখানেই এতদিন ধরে চিকিৎসা চলছিল আমজাদ হোসেনের। ব্রেন স্ট্রোকের কারণে তৈরি হওয়া সম্ভাবনা ছাড়াও শরীরের বাইরে এবং ভেতরে ইনফেকশন ছিল তার।