করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু মারা গেছেন।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল মতিন খসরু বুধবার বিকেল ৪ টা ৪৫ মিনিটে মারা যান বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন তার ভাগ্নে অ্যাডভোকেট তাসলিম আহমেদ খান।
গত ১৬ মার্চ আব্দুল মতিন খসরুর করোনা পজিটিভ আসে। এরপর তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে গত ১ এপ্রিল আব্দুল মতিন খসরুর করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। এরপর ৩ এপ্রিল আইসিইউ থেকে তাকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবার তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় এবং একপর্যায়ে ১২ এপ্রিল তাকে লাইফ সাপোর্ট নেয়া হয়।
আব্দুল মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. আবদুল মালেক এবং মাতা জাহানারা বেগম। আব্দুল মতিন খসরু এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ১৯৭৮ সালে কুমিল্লা জজকোর্টে আইন পেশা শুরু করেন আব্দুল মতিন খসরু। এরপর ১৯৮২ সাল থেকে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। এরমাঝে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং কুমিল্লা জেলার অবিভক্ত বুডিচং থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।
একপর্যায়ে আইন পেশার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতির সাথে জড়িত হন আব্দুল মতিন খসরু। বর্তমান জাতীয় সংসদের সদস্য আব্দুল মতিন খসরু মোট ৫ বার জাতীয় সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ছিলেন আইন মন্ত্রী। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল মতিন খসরু সর্বশেষ ২০২১-২২ মেয়াদের সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন।