রাজধানীর সিপাহীবাগের চারতলা বাড়িটি ২০০৩ সালে নির্মিত। সাড়ে ঊনিশ’শ স্কয়ার ফিটের ছাদে ছাদকৃষির আয়োজনটিও ঠিক তখন থেকেই। আর এই আয়োজনের উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগের কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ রফিক। খুব ছোটবেলায় গ্রামীন জীবনে কৃষি ও প্রকৃতির প্রতি যে ভালোবাসা জন্মে তা ধরে রাখতেই এই আয়োজন।
প্রায় চৌদ্দ বছরের এই কৃষি চর্চায় অনেক ফল ফসল নিয়েই পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে এখানে। তাই সতেজ ফল, ফুল আর সবজির ফলনও বেশ ভালো দেখা যায়। উৎপাদন হচ্ছে আম, পেয়ারা, লেবু, সফেদা, কামরাঙা, ডালিম, অরবরই, শরিফা, মাল্টাসহ একাধিক ফল।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই ছাদের গাছে বা ফসলে কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেন না উদ্যোক্তা আবু নাসের মোহাম্মদ রফিক। এজন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষনও নিয়েছেন তিনি। শতভাগ বিষমুক্ত ফসলের স্বাদ পাওয়াই এ উদ্যোগের মুল উদ্দেশ্য।
ছাদকৃষি করতে এসেইে কৃষির প্রতি জানাবোঝা ও দায়িত্ব বেড়েছে এউ উদ্যোক্তার। বলছেন, জলবায়ূ পরিবর্তনের এই সময়ে নগরের উষ্ণতা রোধে ছাদ কৃষি দারুন এক উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে নগরজীবন সবুজে ছেয়ে যেতে পারে, দূর হতে পারে দূষণও।
এখন চাইলে যে কেউই হয়ে উঠতে পারেন নতুন একজন ছাদকৃষি উদ্যোক্তা। ছাদকৃষির জন্য উপকরণ বা প্রয়োজনীয় তথ্যাদি এখন খুব সহজেই পাওয়া যায়।
উদ্যোক্তা আবু নাসের মোহাম্মদ রফিকের এই ছাদটি অন্যসব ছাদের থেকে একটি কারণে পুরোপুরিই আলাদা। বিশালাকার এক বেলি ফুলের ঝোপ এখানে। যা থেকে দারুন সুবাস ছড়াচ্ছে চারিপাশ। সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মত। ফুলের এই সৌরভ এই পরিবারের অন্যান্যদেরকেও দারুণ মুগ্ধ করছে।
এখানে রয়েছে বিশেষজাতের আম আম্রপলি, সুবর্ণরেখা ও থাইল্যান্ডের কিওয়াছাওয়াই। কিওয়াছাওয়াই জাতের আম কাঁচামিঠা। সুস্বাদু এই আম এবার বেশ ভাল ধরেছে।