রাজধানীর মতিঝিল ও পল্টন থানার নাশকতার দুই মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে আবারও ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এছাড়াও ওই দুই মামলায় হেফাজতের আরেক নেতা মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকেও ৭ দিনের রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত তাদের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে এই দুই মামলায় প্রথমে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর শুরু হয় রিমান্ডের শুনানি। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই মামলায় তাদেরকে রিমান্ডে নেয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু।
রিমান্ডে নেয়ার বিরোধিতা করে তাদের জামিনের আবেদন জানায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মামুনুল হক ও জুনায়েদ আল হাবিবকে মতিঝিল থানার মামলায় ৩দিন করে এবং পল্টন থানার মামলায় ৪দিন করে প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগ হাকিম আদালতে দুই মামলায় মামুনুলের গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিন করে ২০দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
গত ১৯ এপ্রিল মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা চুরি ও মারধরের মামলায় মামুনুল হক সাতদিনের রিমান্ডে আছেন। ওই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা ১৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের পর তার নামে ১৫টি এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে ২টি মামলা হয়।
এসব মামলার বাদী পুলিশ। পল্টন থানায় হওয়া সর্বশেষ মামলার বাদী যুবলীগের এক নেতা। আর মোহাম্মদপুরে আরেকটি মামলার বাদী একজন সাধারণ মানুষ।
গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা হিসেবে মনে করছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় ২ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামিও করা হয়।