চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আবার শুরু হলো জ্বালাও-পোড়াও আর ভাঙচুরের রাজনীতি?

অনেকদিন পর আবার জ্বালাও-পোড়াও আর ভাঙচুরের ঘটনা দেখলো রাজধানীবাসী। মঙ্গলবার আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে থাকা নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর ঘটে এ ঘটনা। পুলিশের মোটরসাইকেলসহ শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করার পাশাপাশি কয়েকটিতে অগ্নিসংযোগও করে দলটির নেতাকর্মীরা। বিক্ষিপ্ত এ সংঘর্ষে আহত হন কয়েকজন। বিএনপির দাবি, এই ঘটনায় তাদের ২৮ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আমরা জানি, দীর্ঘদিন রাজধানীতে এ ধরনের কোনো অপ্রীতিকর আর নাশকতামূলক তৎপরতা ছিল না। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই দলটি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পেরেছে। সেই প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করে এই ঘটনা অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ তৈরি করেছে। তাদের আশঙ্কা এ্রই ঘটনার মাধ্যমে আবারো হয়তো দেশে জ্বালাও-পোড়াও আর ভাঙচুরের রাজনীতির প্রত্যাবর্তন ঘটবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য, বঙ্গবাজার এবং পাশের সচিবালয় এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল করতে গেলে মিছিলকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের ধাওয়ার পর নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। বঙ্গবাজার মোড়ে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় মিছিলকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। ঘটনার তীব্রতায় অফিস ফেরতদের মধ্যে যে আতঙ্ক আর তীব্র যানজট তৈরি হয়, তা রাজধানীর প্রতিদিনের স্বাভাবিকতা ব্যাহত করে। দেশের রাজনীতির ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় শীতকালে রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন-সংগ্রাম ও নানা কর্মসূচি দিয়ে থাকে। একই সময়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষাসহ নানা শিক্ষা কার্যক্রম চলে। এই অবস্থায় রাজনীতির নামে কোনো ধরনের নাশকতা অবশ্যই কাম্য নয়। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আমাদের আশা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ আর গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা রাজধানীসহ সারাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ শান্ত থাকুক। আমাদের প্রত্যাশা, এই পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। আমরা মনেকরি জ্বালাও-পোড়াও এর রাজনীতি আবার ফিরে আসুক; দেশবাসী তা চায় না।