সুদের টাকা সময় মত পরিশোধ করতে না পারায় এবার সাভারে বেলাল হোসেন নামের এক চা বিক্রেতাকে পিটিয়েছে এক পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আজ সকালের সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা ছাপড়া মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত চা বিক্রেতাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহত চা বিক্রেতা বেলাল হোসেন জানান, গত কয়েক মাস আগে গেন্ডায় বসবাসরত ডিএমপির পুলিশ কনস্টেবল মিজানুর রহমানের কাছে থেকে সাত হাজার টাকা সুদে নেন তিনি। সাত হাজার টাকায় মাসে মাসে এক হাজার টাকা করে লাভ দিয়ে আসছিলেন তাকে।
আজ (বুধবার) সকালে ওই পুলিশ কনস্টেবল সুদের সাত হাজার টাকার জন্য চাপ দেন চা বিক্রেতা বেলালকে। এসময় সে টাকা দিতে কয়েকদিন দেরি হবে বলে জানালে পুলিশ সদস্য মিজানুর তাকে পিটিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চা বিক্রেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
বেলাল হোসেন বলেন, সুদের টাকা দিতে না পারায় পুলিশ সদস্য কনস্টেবল মিজান আমাকে পিটাইছে। টাকাটা আমি দিতে চাইছিলাম বেলা একটার দিকে, সকাল বেলায় দিতে পারি নাই দেইখা ও আমারে পিটাইছে।
এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হলে পুলিশ কনস্টেবল মিজানুর দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে ওই চা বিক্রেতা চায়ের দোকান বন্ধ রেখেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার সহাকারী পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেন চা বিক্রেতা পিটিয়ে আহত করার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহত চা বিক্রেতার বাড়ি দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ থানার মুনিপুর গ্রামে। তিনি ও তার স্ত্রী গেন্ডা এলাকার ব্যবসায়ী ইরন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে একটি দোকানে চা বিক্রি করতেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মিরপুর ১ নম্বর গুদারাঘাটে চাঁদা না পেয়ে মিরপুরের শাহ আলী থানা পুলিশ চা বিক্রেতা বাবুল মাতব্বরকে পুড়িয়ে হত্যা করে। এর রেশ না কাঠতেই আজ সাভারে এ ঘটনা ঘটলো।