চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আবারও সেপ ব্লাটার

শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে টালমাটাল এক অবস্থার মধ্যে পঞ্চমবারের মতো ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ফিফাকে উদ্ধার এবং সকলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেপ ব্লাটার।

৭৯ বছর বয়সী এ সুইস চার বছর পর ২০১৯ সালে আর নির্বাচনী লড়াইয়ে না নামার অঙ্গীকারও করেছেন।

ফিফাকে একটি নৌকা হিসেবে উল্লেখ করে একে তীরে পৌঁছানোর প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন ১৭ বছর ধরে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তি।

প্রিন্স অালি দ্বিতীয় রাউন্ডের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালে ব্লাটারকে পঞ্চমবারের মতো ফিফার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

দৃশ্যত আবেগঘন চেহারায় কিছুটা ছলছলে চোখে ব্লাটার বলেন, আপনারা দেখছেন আমি কতোটা সুখি। হ্যাঁ, আজ আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু আপনারা এখন আমাকে এ সুখি অবস্থায় নিয়ে এসেছেন।

নির্বাচিত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রিন্স অালির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি সবার প্রেসিডেন্ট হবো।

নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রথম রাউন্ডে বেশি ভোট (১৩৩) পেলেও প্রয়োজনীয় ১৩৮টি ভোট পাননি ব্লাটার।

কিন্তু ৭৩ ভোট পাওয়া তার চ্যালেঞ্জার জর্ডানের প্রিন্স আলি বিন আল হুসেইন দ্বিতীয় রাউন্ডের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোয় ব্লাটার এবারও নির্বাচনে জয় লাভ করেন।

নির্বাচনে মোট ভোট পড়ে ২০৯ টি। এর মধ্যে তিনটি ভোট বাতিল হয়।

ব্লাটারের সরাসরি জয়ের জন্য ১৩৮টি ভোট দরকার ছিলো। তবে পাঁচ ভোটের জন্য তাকে দ্বিতীবারের লড়াইয়ে নামতে হয়নি।

সেই স্বস্তি আর জয়ের আনন্দে ফিফা সদস্যদের তুমুল করতালির মধ্যে তিনি বলেন, আমি আপনাদের ভালোবাসি। আমি আমার কাজকে ভালোবাসি। আমি জানি, আমি শতভাগ যোগ্য না, কেউই আসলে তা’ না। কিন্তু আমি জানি, আমরা একসঙ্গে আমাদের লক্ষে পৌঁছাতে পারবো।

সেই মিশনে নতুন করে সভাপতিত্বের তার প্রথম কাজই হবে ফিফার ইমেজ পুনরুদ্ধারের সঙ্গে ফিফাকে দুর্নীতিমুক্ত করা। একশো ১১ বছরের ইতিহাসে ঠিক এখনই সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে ফিফা।

নির্বাচন এবং ফিফা কংগ্রেসের ঠিক আগে ফিফার একজন সহসভাপতি এবং একজন নির্বাহী সদস্যসহ সাত ফিফা কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই এবং সুইস পুলিশ ঘুষ, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।

বলা হচ্ছে, ২০১৮ এবং ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজক ঠিক করাসহ একাধিক টুর্নামেন্টের স্বাগতিক দেশ নির্ধারণে ঘুষ বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

এ কারণে ইউয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাটিনি ছাড়াও একাধিক স্পন্সর ব্লাটারের পুনর্নির্বাচনের বিরোধী ছিলো। প্লাটিনি এমনকি হুমকি দিয়ে রেখেছেন, ব্লাটার আবার ফিফা সভাপতি হলে তারা ফিফা এবং বিশ্বকাপ থেকে বের হয়ে যাবেন।