মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আরিয়ান খানের অন্তর্বর্তী জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মুম্বাইয়ের আদালত। পাঠানো হয়েছে আর্থার রোড জেল হেফাজতে।
এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেয় আরিয়ানকে। শুক্রবারই আরিয়ানের পক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন আবেদন করেন শাহরুখের নিযুক্ত আইনজীবী মানশিন্ডে। কিন্তু এদিন প্রায় ৫ ঘন্টার প্রশ্ন-উত্তরের পর আরিয়ানকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত আরিয়ানকে জেলে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরাও একই জেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
জানা যাচ্ছে জেলের মধ্যেই কোয়ারেন্টাইন সেল তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই আপাতত তিন থেকে পাঁচদিন থাকতে হবে আরিয়ান ও অন্যান্য অভিযুক্তদের।
আরিয়ান সহ বাকি অভিযুক্তদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু জেলের গাইডলাইন অনুযায়ী আগামী ৩-৫দিন তাদের কোয়ারেন্টাইনেই থাকতে হবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
তবে শাহরুখের ছেলেকে এখনও জেলের পোশাক দেয়া হয়নি। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শাহরুখের ছেলে বলে আলাদা করে কোনো বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে না আরিয়ানের জন্য। অন্যান্য বন্দিদের মতোই তার সঙ্গে ব্যবহার করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতে আরিয়ানকে থাকার নির্দেশ ছিল আদালতের। তাই কালও শাহরুখের অনুরাগীরা অপেক্ষা করেছিলেন জামিনের জন্য। কিন্তু গতকালই ১৪ দিনের জন্য আরিয়ানকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। তার পরেই আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদনও আজ খারিজ হয়ে গেল। তদন্তের খাতিরেই আরিয়ানের হেফাজতে থাকার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয় এনসিবি-র পক্ষ থেকে।
গত শনিবার আরব সাগরে মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে আটক করা হয় শাহরুখ পুত্রকে। আটকের ১৬ ঘণ্টা জেরার পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে ও তার ৮ জন সঙ্গীকে।