বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। মেধাবী ছেলেকে হারিয়ে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন আববারের মা রোকেয়া খাতুন।
কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে আবরারের বাসা জুড়ে শোক আর আহাজারি। সেখানে আববারের প্রতিবেশি ও স্বজনরা ভীড় করেছেন।
আববারদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে। সপ্তাহ খানেক আগে ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসেন আবরার ফাহাদ। তবে বাড়িতে এসে পড়ালেখা ঠিক মত না হওয়ায় ১০দিন আগেই ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। গতকাল সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় আববার। সকালে তার মা ঘুম থেকে ডেকে তুলে দেয়। এরপর ঢাকায় পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত ফোনে ৪ বার কথা হয়। আর হলে পৌঁছে বিকেলের দিকে মাকে ফোন দিয়ে জানায় পৌঁছানোর বিষয়টি।
মোবাইলে এটিই তার মায়ের সাথে শেষ কথা হয়। আর সারারাত ফোন দিয়েও ছেলের খবর না পেয়ে বিচলিত হয়ে উঠেন মা রোকেয়া। সকালে উঠে খবর পান ছেলে আর বেঁচে নেই।
ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে আবরারের মা মূর্ছা গিয়ে বারবার বলছেন, “আমার বেটার মত বেটা কয়জনের ঘরে আছে রে, আমার মত সোনার বেটা কয়জনেরে আল্লাহ দেয় রে। আমার মত সুখী কোন মা নাইরে।”
দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার বড়। ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাবা বরকতুল্লাহ বেসরকারি একটি এনজিও কর্মকর্তা। মা স্থানীয় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
পারিবারিক সুত্র জানিয়েছে, আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ ছেলের মরদেহ আনার জন্য ঢাকার পথে। লাশ কুষ্টিয়া আনার পর আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে গ্রামের বাড়ি কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গায় তার দাফন করা হবে। ছাত্রশিবির কর্মী দাবি করে তাকে পিটিয়ে হত্যা করার কথা বলা হলেও তার বাবা বরকতুল্লাহ ও ৪ চাচা আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।