হাথুরুসিংহে চলে গেছেন সাত মাস হয়েছে। এখনও নতুন হেড কোচ নিয়োগ দিতে পারেনি বিসিবি। জাতীয় দলের সঙ্গ ছেড়েছেন সহকারী কোচ হ্যালসলও। আপদকালীন সময়ে দায়িত্ব বেড়েছে টাইগারদের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের। নিধাস ট্রফির পর ভারতের দেরাদুনে হতে যাওয়া আফগানিস্তান সিরিজেও হেড কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন এ ক্যারিবীয় কিংবদন্তি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে কোচ পাওয়ার চেষ্টায় আছে বিসিবি, বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন এমনটাই। আফগান সিরিজে ওয়ালশই হেড কোচের দায়িত্ব সামলাবেন সে সিদ্ধান্তও নেয়াই ছিল। রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।
নিধাস ট্রফিতে ওয়ালশের অধীনে সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে তীব্র প্রতিদ্বন্দীতা গড়ে রানার্সআপ হয়ে ফিরেছিল সাকিব-মুশফিকরা। আফগানদের বিপক্ষে ওয়ালশের ভূমিকার উপর তাই আস্থা রাখতেই পারে বাংলাদেশ। কিন্তু সমস্যা হল- হেড কোচ ও ব্যাটিং কোচ না থাকায় কীভাবে নিজেদের প্রস্তুত করছেন ব্যাটসম্যানরা?
দেরাদুনে রওনা হওয়ার আগে রোববার ঢাকায় সবশেষ সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ জানালেন, ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেয়াকে সুযোগ হিসেবে নিচ্ছেন। ওয়ালশও যে ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করছেন, সেটিও উদাহরণ দিয়ে তুলে ধরলেন মাহমুদউল্লাহ।
‘যেদিন ক্যাম্প শুরু হয় মাশরাফী ভাই ছিল, আমি, তামিম, মুশফিক আমরা সবাই কম-বেশি কথা বলেছি। এমনকি ব্যাটসম্যানদের গ্রুপে যারা ছিল সবাই আমরা কথা বলেছি যে, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ আমরা কতটুকু নিজেরা নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে সামনে আগাতে পারি। যদিও মাস্টার(ওয়ালশ) আছে, সুজন (খালেদ মাহমুদ) ভাই আছে, ওনারাও সাহায্য করছেন।’
‘পরশু যখন নেটে ব্যাট করছিলাম, আমি অনেক বেশি তাড়াহুড়ো করছিলাম, খুব জোরে মারার চেষ্টা করছিলাম; তখন মাস্টার(ওয়ালশ) এসে সাজেশন দিল যে, তুমি তোমার টাইমিংয়ের উপর আরেকটু ভরসা রাখতে পার। মনে হয় বেশি জোরে মারছো। ছোটখাটো এরকম উপদেশও দিচ্ছে। কাজেও লেগেছিল। পরে কয়েকটা জিনিস চেষ্টা করলাম, ব্যাটে খুব ভালো কানেক্টও হল। এরকম সবাই মোটামুটি সাহায্য করছে। এখন এটা আমাদের নিজেদের উপর দায়িত্ব। আমরা দায়িত্ব নিয়ে যেন পারফর্ম করতে পারি।’ -যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ।