মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচেই দুই ইনিংস মিলিয়ে দুইশো রান তুলতে পারেনি রংপুর রাইডার্স ও চট্টগ্রাম ভাইকিংস। পরের ম্যাচে একই মাঠে ঢাকা ডায়নামাইটসের সম্ভাবনা ছিল দুইশো পেরনোর! আফগান ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের ঝড়ো ব্যাটিং সত্ত্বেও অবশ্য শেষঅবধি রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ১৮৯ রানে থেমেছে সাকিবের দল।
ষষ্ঠ বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে স্পিন সহায়ক উইকেটে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের শুরুতে নিজেই হাতে তুলে নেন বল। পড়েন ঝড়ের মুখে।
প্রথম ওভারে এক ছয়ের সাহায্যে ৯ রান তুলে ঝড়ের শুরু করেন জাজাই। ইনিংসের তৃতীয় ও মিরাজের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে আরও বিধ্বংসী আফগান ওপেনার। তিন ছয়ে সেই ওভারে রান তোলেন ২১!
কেবল মিরাজই নন, আলাউদ্দিন বাবুর করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারেও সপাটে ব্যাট চালিয়েছেন জাজাই। সেই ওভারে টানা তিন চার ও এক ছয়ে রান তোলেন ২০। ওই ওভারেই পঞ্চাশ পেরোয় ঢাকা।
অপরপ্রান্তে আরেক ওপেনার সুনিল নারিন রয়েসয়ে খেলে করেছেন ২৮ বলে ৩৮। মোহাম্মদ হাফিজের করা দশম ওভারের চতুর্থ বলে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়ে ক্যারিবীয়ান অলরাউন্ডার যখন ফেরেন ঢাকার সংগ্রহ তখন ১১৬।
জুটি ভাঙতেই বেশিক্ষণ টেকেননি জাজাইও। পরের ওভারেই মিরাজের বলে সৌম্যর হাতেই ধরা পড়েন ঢাকার আফগান ওপেনার। ফেরার আগে ৪১ বলে ৭টি বিশাল ছক্কা ও ৪ চারের সাহায্যে খেলে গেছেন ৭৮ রানের এক ইনিংস।
দুই ওপেনার ফিরতেই পথ হারায় ঢাকা। দ্রুত সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক সাকিব, কাইরেন পোলার্ড ও নুরুল হাসান সোহান। দ্বাদশ ওভারে দুই উইকেটে ১২৪ রান তোলা দলটি নির্ধারিত ওভার শেষে থামে ১৮৯ রানে। শেষদিকে ১৪ বলে ৩৮ রান করে ঢাকাকে এই সংগ্রহ পাইয়ে দেন শুভাগত হোম।
ঢাকার রান চাকা থামিয়ে দিতে মূল অবদানটা স্পিনারদেরই। তিন ওভারে ২৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন আরাফাত সানি। খরুচে হলেও তিন ওভারে ৩৮ রানে মিরাজ নিয়েছেন জাজাইয়ের উইকেটটি।