ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টুয়েন্টিতেও দাপট দেখালেন লিটন দাস। তিন নম্বরে নেমে ৪৪ বলে খেললেন ৬০ রানের ঝলমলে ইনিংস। বাংলাদেশ পেয়েছে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ১৫৫ রান। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন টাইগার অধিনায়ক। আফগানদের বিপক্ষে প্রথমবার পাড়ি দেয়া গেল দেড়শর পথ। দলটির বিপক্ষে আগের সাত ম্যাচে টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১৪৪ রান।
শুরুটা হতাশার হলেও লিটনের ব্যাট পথ দেখায় বাংলাদেশকে। আফিফ হোসেনকে নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪৬ রান যোগ করেন তিনি।
বিপিএল মাতিয়ে টি-টুয়েন্টি দলে সুযোগ পাওয়া মুনিম শাহরিয়ারের অভিষেক হয়েছে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে খারাপ করেননি ডানহাতি ওপেনার।
বাংলাদেশ দলের নিয়মিত ওপেনার নাঈম শেখ ৫ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হলেও মুনিম পেরিয়েছেন দুই অঙ্ক। তিন চারে ১৮ বলে ১৭ রান করে রশিদ খানের বলে হন এলবিডব্লিউ। কাভার দিয়ে তার প্রথম চারটি ছিল দেখার মতো।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসান দলীয় পঞ্চাশের আগেই ফেরেন সাজঘরে। চার নম্বরে নামা বাঁহাতি ব্যাটার ৬ বলে করে যান ৫ রান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ দুই অঙ্ক ছুঁয়ে আউট হন। ৭ বলে করেন ১০ রান।
৮০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর লিটনের সঙ্গে জুটি জমান আফিফ। লিটন ৬০ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটি। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটি ছয়ের মার।
লিটনের বিদায়ের পর ফিরে যান আফিফও। বাঁহাতি ২৪ বলে ২৫ রান করেন দুটি চারের সাহায্যে। এই ম্যাচে আরেক অভিষিক্ত ইয়াসির আলি চৌধুরী ৭ বলে ৮ রান করে রান আউটের শিকার হন।
মি. এক্সট্রা থেকে আসে ১৬ রান। ফজলহক ফারুকি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। কাইস আহমেদ ও রশিদ খান নেন একটি করে উইকেট।