পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভার আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং। টিকে গেলে মেজাজ একটু ঠান্ডা রেখে ১৫ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থাকা। টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল মনে করেন এভাবেই যদি ইনিংসটা বড় করা যায় তাহলেই চলে আসবে লড়াকু দলীয় সংগ্রহ।
শুরুর ৬ ওভার ও পরের ৯ ওভার ভিন্ন মেজাজে খেলার ব্যাপারটি তামিমের ব্যক্তিগত ভাবনা। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে বড় ইনিংস খেলার গুরুত্ব বোঝেন বলেই হয়তো এভাবে ভাবছেন টাইগার ওপেনার।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে তামিম নিজের চাওয়ামতো খেলতে পারলে যে ভালো কিছুই হবে সেটির সাথে কারও দ্বিমত করার কথা নয়।
টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছেন তামিম ইকবাল। এ ড্যাশিং ওপেনার নিজেও মনে করেন ফরম্যাটটা এখন ভালো বোঝেন। আফগান সিরিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্যের কথা জানতে চাইলে দেন ‘বিশ্লেষণী’ উত্তর।
‘আমার ব্যক্তিগত চাওয়া নির্ভর করে, দলে আমাকে কোন ভূমিকা দেয়া হয় তার উপর। আমাকে যদি অ্যাংকরের ভূমিকা দেয়া হয়, আমাকে সেটাই করতে হবে। এমনিতে প্রথম ৬ ওভারে শট খেলেতেই হবে। সুযোগ নিতেই হবে। ৬ ওভারের মধ্যে আউট হয়ে গেলে তো হয়েই গেলাম। ওপেনারদের এই ঝুঁকি নিতেই হবে।’
‘কিন্তু যদি সেটা (পাওয়ার প্লে) পার করে দিতে পারি, তাহলে আমার লক্ষ্য থাকবে লম্বা ইনিংস খেলা। ছয়ের পর থেকে ১৫ ওভারের সময়টুকুই টি-টুয়েন্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওখানে যদি আমরা বেশি উইকেট না হারাই এবং একজন যদি লম্বা ইনিংস খেলতে পারে, সেটিই আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। আমি ওরকম করতে পারলে দারুণ হবে।’-যোগ করেন তামিম।
আফগান বোলিং আক্রমণে সবচেয়ে বড় অস্ত্র রশিদ খান। টাইগার ব্যাটসম্যানদের ‘ব্র্যান্ড অব ক্রিকেট’ খেলতে বাধা হতে পারে এ লেগস্পিনার।
তামিম জানেন রশিদ কতটা ভয়ঙ্কর। বিপিএলে তামিমের কুমিল্লা ভিক্টোয়ারন্সে খেলেছেন রশিদ। আগের চেয়ে এখন নাকি আরও উন্নতি করেছেন এই আফগান। তারপরও বিচলিত নন তামিম। এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের বিশ্বাস, অতীতের মতো রশিদ-চ্যালেঞ্জও জয় করবে বাংলাদেশ।
‘ওর (রশিদ) কুইক আর্ম অ্যাকশনটাই সবচেয়ে কঠিন ব্যাটসম্যানদের জন্য। আরেকটি ব্যাপার, ৬ মাস আগে হয়তো ওর অ্যাকুরেসি এত ভালো ছিল না। এখন সেখানেও উন্নতি করেছে, খুব অ্যাকুরেট। আর সাফল্যও পাচ্ছে। বিশ্বের সেরা সব ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করছে। খুব ভালো বোলিং করছে। কিন্তু এমন নয় যে ওকে খেলাই যাবে না। আমরা যদি নিজেদের ভালো ভাবে মেলে ধরতে পারি, কেন নয়!
‘আমি এমন নই যে একজনের প্রতিই মনোযোগ দেব। কারণ ওদের দলে আরও অনেক ভালো ভালো ক্রিকেটার আছে। অনেক ভালো ভালো বোলার আছে। শুধু একজনের দিকেই মন দেওয়া মানে আগে থেকেই নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে যাওয়া। সন্দেহ নেই, এই মুহূর্তে সে হয়তো বিশ্বের সেরা টি-টুয়েন্টি বোলার। তবে আমরা এরকম অনেক চ্যালেঞ্জ জিতে অনেক ভালো খেলেছি। এবারও আশা করব যে এমনটিই হবে।’-বলেন তামিম।