আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে হাইকোর্টের দেয়া আগাম জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের এক নোটিসের প্রেক্ষিতে ‘গ্রেপ্তার হতে পারেন এমন আশঙ্কায়’ হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন।
বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এএনএম বসির উল্লাহ’র হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে নোটিস দেয় দুদক।
পরে দুদকের দেয়া নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি জয়নুল আবেদীন ২০১০ সালের ২৫ জুলাই হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনও করেছিলেন।
সে রিটের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দেয়।
এর সাত বছর পর পুনরায় সাবেক এই বিচারপতির বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে, এমনটি উল্লেখ করে তার বিষয়ে অনুসন্ধানের স্বার্থে সুপ্রীম কোর্টের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে গত ২ মার্চ চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।
এর জবাবে গত ২৮ এপ্রিল আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুনাভ চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, ‘সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুদকের কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ সমীচীন হবে না বলে সুপ্রীম কোর্ট মনে করে।’
কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ, দুর্নীতি বা অন্য কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে সুপ্রীম কোর্টের পরামর্শ ছাড়া তার প্রাথমিক তদন্ত বা অনুসন্ধান না করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের ওই চিঠিতে।