আনুষ্ঠানিক কোনো সংবর্ধনা ছাড়াই বিদায় নিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। তিনি ১ অক্টোবর অবসরে গেলেও বৃহস্পতিবারই ছিলো তার শেষ কার্যদিবস। কারণ শুক্র-শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে অবকাশে যাচ্ছেন উচ্চ আদালত।
শেষ কার্যদিবসও কোনো শুনানিতে অংশ না নিয়েই কাটান বিচারপতি চৌধুরী। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যতালিকা অনুযায়ী তিনি কোনো বেঞ্চে ছিলেন না।
এর আগে বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়ার নেতৃত্বে বিচারপতি ইমান আলীর সঙ্গে আপিল বিভাগের দ্বিতীয় বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থী সদস্যরা তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানাবে না বললেও আওয়ামী লীগপন্থীরা মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ও জানিয়েছিলো, বিদায়ী বিচারপতিকে সংবর্ধনা জানানো হবে।
তবে, রীতি অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত কেনো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো না সে বিষয়ে আওয়ামী লীগপন্থী কোনো আইনজীবী বা অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
আনুষ্ঠানিক কোনো সংবর্ধনা না হলেও বিদায়ী বিচারপতির সাথে দেখা করে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান আপিল বিভাগের বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, বিচারপতি ইমান আলী ও বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। টেলিফোনে ও মোবাইল এসএমএসে শুভেচ্ছা জানান বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা।
এছাড়া, সিনিয়র আইনজীবী ব্যরিস্টার আমীর-উল-ইসলাম, ইউসুফ হোসেন হুমা্যুন এবং শ.ম, রেজাউল করিমসহ অনেক আইনজীবী তার সাথে দেখা করে বিদায় জানান। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজাসহ কয়েকজন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল বিদায়ী বিচারপতির সাথে সাক্ষাত করেছেন বলে জানা গেছে।