ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তি হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে আশঙ্কা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘এখনো সময় আছে। ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তিতে সাক্ষর না করে প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও আপনার পৈতৃক এই সম্পত্তিটাকে বাঁচান’!
তিনি বলেন, আপনি তো জনগণকে দেশের মালিক মনে করেন না। আপনি মনে করেন এই দেশ আপনার পৈতৃক সম্পত্তি। আপনার এই পৈতৃক সম্পত্তিটাকে অন্তত বাঁচান। পৈতৃক সম্পত্তি বাঁচানোর জন্য জীবন দেয়া যায়’!
সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘যুব জাগপা’র ২৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী’র ডাকে সামরিক চুক্তি-গোলামী চুক্তি, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শীর্ষক যুব সমাবেশে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান আলোচক ছিলেন জাগপা’র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান। গয়েশ্বর এসময় ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের রাজনৈতিক, সামরিক ও সমাজ বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, দেশকে বাঁচানোর জন্য ভারত যান। সামরিক চুক্তি করার জন্য যাবেন না। প্রয়োজনে জীবন দিন। তবুও সামরিক চুক্তি করবেন না। এখনো সময় আছে। ভারত যাওয়ার আগে দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক বিশেজ্ঞদের সঙ্গে বসুন। আলোচনা করুন।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কথা জোর দিয়ে বলা হচ্ছে না। কিন্তু ভারতের পত্রিকায় প্রকাশ করছে এই চুক্তিতে কি হতে যাচ্ছে।
গয়েশ্বর আরো বলেন, বাংলাদেশকে আক্রমণ করতে পারে এমন দেশতো দেখি না।তবে কি ভারতের সাথে আমাদের যুদ্ধের কোনো সম্ভাবনা আছে? যদি থাকে তবে তাদের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি কেন?
আমাদের সেনাবাহিনী কি দুর্বল হয়ে গেছে যে অন্য দেশের সহযোগিতা নিতে হবে। সামরিক চুক্তি করতে হলে সেনাবাহিনী, দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিশেষ ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করে দিল্লি যাবেন। তবে এখন তিস্তার পানি চুক্তি, সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধের চুক্তি হতে পারে প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিনি।
ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে ভারত অন্য দেশের সাথে যুদ্ধের সময় আমাদের দেশকে সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে পরাজিত হওয়ার পর কয়েকদিন থেকে সরকারের চাপা বন্ধ আছে মন্তব্য করেন তিনি।।
জঙ্গিবাদ নিয়ে তিনি বলেন, এখন যে নিয়মিত জঙ্গিবাদের কথা শুনছি এটি নিয়েও মানুষের মধ্যে সন্দেহ আছে। দেশের মানুষ এটিকে সন্দহের চোখে দেখে। ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তিকে যৌক্তিক প্রমাণে মহড়া চলছে। এই মহড়া চুক্তি সাক্ষর পর্যন্ত থাকবে দাবি করেন তিনি।।
যদি দেশে জঙ্গি থাকে তবে জনমত তৈরি করে রাজনৈতিক দল গুলিকে একত্রিত করে জঙ্গিবাদের মোকাবেলা করতে হবে বলেও জানান গয়েশ্বর।