জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আই টি ইউ এর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে প্রশংসা পেয়েছে কিশোরী স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন। ওই সম্মেলনে অংশ নিয়ে দেশে ফিরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, স্বর্ণকিশোরীর অর্জনে তারা সকলে গর্বিত।
কিশোরী মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালীন মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে কাজ করছে স্বর্ণ-কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন। দেশের ৪শ ৯০ টি উপজেলার কিশোরীদের নিয়ে কাজ করছে স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক। ২০১৯ সালের মধ্যে ২ কোটি কিশোরীকে আইসিটি এবং মিডিয়ার মাধ্যমে এ নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে উদ্যোক্তাদের।
দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হচ্ছে স্বর্ণকিশোরী। গত ২৩ থেকে ২৫ মে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ডিজিটাল হেলথ ফর হেলদি লাইফ এন্ড ওয়েলবিইং ফর অল শিরোনামে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আইটিইউ এর মন্ত্রী পর্যায়ের যে সম্মেলন হয়েছে সেখানেও সবার প্রশংসা পেয়েছে এর কার্যক্রম।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, চ্যানেল আইয়ের উদ্যোগে স্বর্ণকিশোরীদের কথা আমরা বলেছি যে কিভাবে বয়ঃসন্ধির মেয়েরা নিজেদের মধ্যে একটা বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। এবং এই নেটওয়ার্কের মধ্যে দিয়ে তারা নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য, নারীর বয়ঃসন্ধি, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান এবং কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্য নারীদের উন্নত করা যায় সেই বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলছে।
ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম নিয়ে চ্যানেল আইয়ে নিয়মিত প্রচার হয় স্বর্ণকিশোরী অনুষ্ঠান। প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা স্বর্ণকিশোরী তাদের জন্যও অনুকরণীয় বলে মত দিয়েছেন।
তারানা হালিম আরো বলেন, প্রকল্পটি চ্যানেল আইয়ের বলার পরে তারা সবাই অসম্ভব করতালিতে মুখরিত হলেন এবং বললেন যে, আমরা আসলে বিভিন্ন সেবা প্রদান করে থাকি বিভিন্ন বয়সের জন্য কিন্তু বয়ঃসন্ধিকে কেন্দ্র করে এমন একটি উদ্যোগ সম্ভবত এটাই প্রথম।
স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্কের পাশে থাকার কথা জানান জেনেভা সম্মেলনে অংশ নেয়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।