সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের উপর ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মুফতি হান্নানসহ তিন আসামী ও যাবজ্জীবন পাওয়া মুফতি মঈনউদ্দিনসহ দুই আসামী ওই হামলা ছাড়াও অন্যান্য হামলায় জড়িত থাকার কথা জানিয়ে তাদের সাজা বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের শাহজালাল মাজার জেয়ারত করতে যান সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী। ওই সময়ে চালানো হয় গ্রেনেড হামলা। ওই হামলায় আনোয়ার চৌধুরী বেঁচে গেলেও পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ ৩ জন নিহত আর আহত হন শতাধিক। ওইদিনই কয়েকজনকে আসামী করে মামলা করা হলেও চার্জশীট দেওয়া হয় ৫ জনের বিরুদ্ধে।
২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর আসামী মুফতি হান্নান, শাহেদ শরীফুল আলম ও দেলওয়ার হোসেনকে মৃত্যুদ-াদেশ এবং মুফতি মঈনউদ্দিন আবু জান্দাল ও মহিবুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিরুদ্ধে করা জেল আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন আসামীপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘গ্রেনেড হামলার ব্যাপকতা অনেক। যেখানে হামলা হয় সেখানে প্রচুর লোক হতাহত হতে পারে। এটা হলো জনগণের বিরুদ্ধে একরকম অপরাধ। এধরণের অপরাধে উপযুক্ত সাজা হওয়াটাই যৌক্তিক। এখানে ক্ষমা-দয়া দেখানোর সুযোগ থাকে না।’
আসামীদের অপরাধ প্রবণতা সম্পর্কে হাইকোর্ট বেঞ্চকে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন,‘ এরা রমনা বটমূলে গ্রেনেড হামলার আসামী, সিপিবি’র মিটিংয়ে বোমা হামলাও এরাই চালিয়েছিলো, গোপালগঞ্জের কোটালি পাড়াতেও এরাই বোমা রেখেছিলো, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার আসামীও এরাই। তাদের উদ্দেশ্য একটি জনগোষ্ঠীকে মারাত্মক ভাবে আঘাত করা।’
তবে মামলা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান আসামীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী।