২২ বছর আগে আলোচিত আনসার বিদ্রোহের অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া চাকরিচ্যুত ১৪৪৭ জনের মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক সক্ষমতা আছে তাদেরকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে যারা যে কয়দিন চাকরিরত ছিল তাদের তত দিনের পেনশন সুবিধা দিতে বলা হয়েছে রায়ে।
এ বিষয়ে জারি করা পৃথক দুটি রুল যথাযথ ঘোষণা করে সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।
আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাহাবুদ্দিন খান লার্জ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন ও প্রতিকার চাকমা।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এ সংক্রান্ত মামলায় ২৮৯ জন আনসারের পক্ষে একই রায় দিয়েছিল হাইকোর্টের এই বেঞ্চ।
সে রায়ের পর ২৩ এপ্রিল পৃথক দুটি রিট করে বিদ্রোহের অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া চাকরিচ্যুত আনসাররা। সেই পৃথক দুটি রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ২৫ এপ্রিল রুল জারি করে। আনসার সদস্যদের চাকরিচ্যুতি কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সোমবার এ রায় হল।
১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়, যা পরে বিদ্রোহের রূপ নিয়েছিল। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এ ঘটনার পর কিছু সংখ্যক আনসার সদস্য পালিয়ে যায়। পরে মোট ২ হাজার ৬৯৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে কিছু কর্মকর্তা চাকরিতে পুনর্বহাল হন। ২ হাজার ৪৯৬ জন আনসার সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পৃথক সাতটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। বিচারে যারা খালাস পান তারা চাকরি ফিরে পেতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করলেও তাতে ফল হয়নি।