সিলেট থেকে: নিজের অভিষেক টেস্ট ইনিংসে তাইজুল ইসলাম নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্টে এ বাঁহাতি স্পিনার নিলেন ৬ উইকেট। তাইজুলের দারুণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গেছে ২৮২ রানে।
৫ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়েছে প্রথম সেশনেই। সফরকারীরা শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ২১ রান তুলে। যার মধ্যে তাইজুলের শিকার ৪ উইকেট।
তাইজুল প্রথম ৫ উইকেট শিকার করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। এরপর আর দুই বার পান ৫ উইকেটের দেখা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংসে ৮ উইকেট নেয়ার কীর্তিও আছে তার। তিন বছর ধরে ৫ উইকেটের দেখা আর মিলছিল না। ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে তাইজুল তিনবার পেয়েছিলেন ৪টি করে উইকেট। অবশেষে সেই বৃত্ত ভেঙে ৬ উইকেট নিলেন নাটোরের এই স্পিনার।
রাগিস চাকাভাকে ফিরিয়ে দিনের প্রথম আঘাত হানেন তাইজুল। পরে একে একে সাজঘরে পাঠান মাসাকাদজা, কাইল জারভিস ও তেন্ডাই চাতারাকে। প্রথম দিন তাইজুল নিয়েছিলেন দুই উইকেট।
টেস্ট অভিষিক্ত নাজমুল ইসলাম ব্রেন্ডন মাভুতাকে ফিরিয়ে দেখা পান নিজেদের দ্বিতীয় শিকারের। জিম্বাবুয়ের ইনিংসের হাল ধরা পিটার মুর অপরাজিত থেকে যান ৬৩ রান করে।
ওয়ানডে সিরিজের পর সাদা পোশাকেও দারুণ ব্যাটিং করেছেন শেন উইলিয়ামস। ম্যাচের প্রথম দিন ৮৮ রান করে মাহমুদউল্লাহর বলে স্লিপে দাঁড়ানো মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১৭৩ বলে ৯ চারে ৮৮ রান করা এ বাঁহাতির বিদায়ে ভাঙে শতরানের দিকে ধাবিত হওয়া পঞ্চম উইকেট জুটি।
ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৫ রান। ব্রায়ান চারিকে বোল্ড করে প্রথম সাফল্য পান তাইজুল। দলীয় ফিফটি ছোঁয়ার আগেই এ বাঁহাতি স্পিনারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর (৬)।
৫২ রান করা মাসাকাদজাকে লাঞ্চের পর এলবিডব্লিউ করেন ‘লোকাল বয়’ আবু জায়েদ রাহি। দলীয় শতরান পেরিয়ে যাওয়ার পর সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য ছিল অপুর। ৩৭ রান করা এ ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে সরাসরি বোল্ড করেন এ বাঁহাতি স্পিনার।