ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বন্দুকধারী আর আত্মঘাতী হামলার সময় চলছিলো জার্মানি ও ফ্র্যান্সের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। মাঠে গ্যালারি ভরা দর্শকরা ফুটবল ম্যাচটি উপভোগ করছিলেন। খেলার ২০ মিনিটের মাথায় সেই আনন্দময় মুহূর্ত পরিণত ভয় আর আতঙ্কে।
বিকট এক আওয়াজে পুরো গ্যালারি ফাঁকা হতে শুরু করে। গ্যালারি ছেড়ে সবাই নিজের প্রাণ রক্ষায় ঠাঁই নেয় সুবজ মাঠে। ততক্ষণে স্টেডিয়ামের বাইরের আত্মঘাতী বোমা হামলা। স্টেডিয়ামের সাউন্ড সিস্টেমে তখনো কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। কিন্তু ম্যাচটি দেখতে আসা রাষ্ট্রপতি ফ্রাসোয়া ওঁলাদ দ্রুত স্টেডিয়াম ত্যাগ করেন।
এসময় দুই দলের খেলোয়াড়দের দ্রুত নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাঠের ভিতরে থাকা কেউ নিহত না হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউ বাইরে বের হতে রাজি হয়নি। স্টেডিয়ামের বাইরের বোমা হামলায় কমপক্ষে শেষ খবর পর্যন্ত তিনজন নিহত ও একাধিক আহত হয়েছেন।
ফ্রান্সে ভয়াবহ বোমা হামলার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরবর্তী প্রীতি ম্যাচসহ যাবতীয় ফুটবলীয় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে প্যারিসের কেন্দ্রস্থলের একটি কনসার্ট হলে বোমা হামলায় কমপক্ষে ১০০ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসীদের অন্যান্য আক্রমণের লক্ষ্যস্থলের মধ্যে ছিল প্যারিসের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম স্টাডে ডি ফ্রান্সও। এ ছাড়া কয়েকটি রেস্তোরাঁতেও আক্রমণ চালানো হয়েছে।
আল-কায়েদা কিংবা ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।