‘১২০ মিনিটের চূড়ান্ত বাঁশি বাজার পরে এটি করার ভুল সময়। একটি দল তাদের সমস্ত হৃদয় দিয়েছিল এবং শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়েছিল। আপনি যখন দেখবেন প্রতিপক্ষ কোচের সঙ্গে রেফারি হাসছেন, আমি মনে করি এমনটা করার জন্য সেটা একেবারেই ভুল সময়। আমি তাকে সেটাই বলেছি।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে রেফারি সাইমন মার্সিনিয়াকের হাসি-তামাশায় মেতে ওঠেন। বিষয়টিকে অগ্রহণযোগ্য দাবি করে এভাবেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান চেলসির কোচ থমাস টুখেল।
শুধুমাত্র আনচেলত্তির উপর অতিমাত্রায় বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের অভিযোগ জানিয়েই থামেননি টুখেল। রিয়াল কোচের আচরণেও তিনি নাখোশ। ম্যাচের পর বিষয়টি নিয়ে তিনি অকপটে মন্তব্য করেন।
‘আমি হতাশ ছিলাম। রেফারি আমার কলিগ কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আমি জানি কার্লো একজন ভালো মানুষ। আমি যখন ম্যাচের জন্য তাকে ধন্যবাদ বলতে গেলাম, আমি তাকে প্রতিপক্ষের কোচের সঙ্গে উচ্চস্বরে (বিদ্রূপাত্মক) হাসি হাসতে দেখেছি।’
প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জয়ের পর দ্বিতীয় লেগে চেলসির কাছে ধরাশায়ী হতে বসেছিল লস ব্লাঙ্কোস। ২-০ গোলে রিয়ালের পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ৬২ মিনিটে ঘটে যাওয়া মুহূর্তটিকে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলা যায়। মার্কোস আলোনসো গোল করে চেলসিকে আনন্দে ভাসিয়েছিলেন। ভিএআরের শরণাপন্ন হয়ে রেফারি হ্যান্ডবলের সংকেত দিলে গোলটি বাতিল হওয়াতেই চেলসির কপাল পোড়ে।
ভিএআরে চেলসির গোল বাতিল হওয়া নিয়ে টুখেলের অভিযোগ এমনটা রিয়ালের ক্ষেত্রে হলে নাকি সিদ্ধান্তটা তাদের বিপক্ষে যেতো না।
‘আপনি যদি রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলেন, হয়তো আশা করতে পারবেন না যে তাদের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়ার সাহস সবার আছে। প্রথম লেগ এবং আজকেও (গতকাল) দ্বিতীয় লেগে আমাদের বিপক্ষে সামান্য কিছু সিদ্ধান্ত গিয়েছিল বলে অনুভব করেছি। আমি গোলটি দেখতে পাইনি, তবে আমি তাকে বলেছিলাম যে আমি খুব হতাশ এজন্য যে তিনি (রেফারি) নিজে থেকে বেরিয়ে আসে না এবং এটি পরীক্ষা করে না।’
ম্যাচে রেফারির কেমন দায়িত্ব পালন করা উচিৎ সেটিও সাফ জানিয়ে দেন টুখেল। একইসঙ্গে সকল সিদ্ধান্ত ভিএআর রেফারির দিকে ঠেলে দেয়ার বিপক্ষেও তিনি মত দেন।
‘ক্ষমতা এমন কারোর হাতে যিনি মাঠের পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চেয়ারে বসে আছেন। আমি মনে করি তার দায়িত্বে থাকা উচিৎ এবং নিজেরই এটি পরীক্ষা করা উচিৎ। তারপর তিনি এটি আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। এটা শুধুই আমার মতামত। আমাদের আরও বেশি প্রাপ্য ছিল।’
‘দ্বিতীয়ার্ধ ও অতিরিক্ত সময়ে আমরা বেশি সময় খেলেছি বলে মনে করি। আসলে সব কিছু আমাদের হাতেই ছিল, কিন্তু ভাগ্যটা পক্ষে ছিল না।’