বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে ভূমিকা রেখে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই নয়, রোগীদের অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রথম চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়। পিজি হাসপাতাল নামে পরিচিত প্রতিষ্ঠানটিকে ১৯৯৯ সালে দেশের প্রথম চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়।
প্রায় সব ধরনের রোগের চিকিৎসা হয় এই হাসপাতালে। প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার রোগী চিকিৎসা পান আউটডোরে।
এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বলছেন, অন্য জায়গায় চিকিৎসা নিতে গেলে যে পরিমাণ খরচ হয় তার চেয়ে এই হাসপাতালে কম খরচে চিকিৎসা নেওয়া যায়। রোগীদের জন্য সব ধরনের সুবিধা এবং সব রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় বলেওে জানান রোগীরা।
অফিস সময়ের বাইরে বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কনসাল্টেশন সেবা চালু আছে এই হাসপাতালে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর মো.আতিউর রহমান বলেন, আউটডোরে রোগীদেরকে প্রফেসররা চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আর সকালে রোগীদের বিভিন্ন টেস্ট করানো হয়ে থাকে।
বাইরের পাশাপাশি ভর্তি রোগীরাও পাচ্ছেন অত্যাধুনিক চিকিৎসা। চিকিৎসক ও নার্সদের আন্তরিকতা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যাচ্ছেন এসব রোগীরা।
এই হাসপাতালকে আধুনিকতা ব্যবস্থায় সমৃদ্ধ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট-আইসিইউ এবং উন্নত শিক্ষা আর যুগোপযোগী চিকিৎসা নিশ্চিত করায় এখন প্রধান লক্ষ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ডাক্তার কামরুল হাসান খান জানান, রোগীদের চিকিৎসা দিতে আমরা সব ধরনের সর্তকতা পালন করি। এর পাশাপাশি হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের আমরা রোগীদের সামনে চিকিৎসা দিয়ে হাতে কলমে শিখিয়ে থাকি।
বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বিএসএমএমইউ-এ ৪শ’টির মতো গবেষণা কাজ চলছে। মাঝে মাঝেই চলে মাসব্যাপী বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা।