আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ৮ম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ইব্রাহীম লেকচার থিয়েটারে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। এসময় ইন্টার্ন ডাক্তারদের শপথ বাক্য পাঠ করান শিশু বিভাগের প্রফেসর ডা. মাহমুদা হাসান।
আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও আদ্-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যালস এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর জামালুন্নেসা, আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজসমূহের উপদেষ্টা ড. আনোয়ার হোসেন মুন্সী, আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. আফিকুর রহমান।
বক্তব্য প্রদান করেন সার্জারী বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. সরদার মো: রেজাউল ইসলাম, গাইনী বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. শামসুন নাহার , মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. খায়রুল ইমাম, পেডিয়েট্রিক বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এআরএম লুৎফুল কবীর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. আশরাফ-উজ্জামানসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পরিচিতি, লগ বুক প্রদান এবং নিয়ম-নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেন আদ্-দ্বীন হাসপাতালসমূহের মহা-পরিচালক প্রফেসর ডা. নাহিদ ইয়াসমিন। তিনি বলেন, আদ্-দ্বীন হাসপাতাল ব্যস্ততম একটি হাসপাতাল। এখানে সবধরণের রোগী সেবা নিতে আসে। তাই আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ইন্টার্নশীপ করে পেশা জীবনে দক্ষতা অর্জনের অহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর বলেন: একাডেমিক পড়ালেখা শেষ করে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে পেশা জীবনে প্রবেশের মাধ্যমে তোমাদের দায়িত্ব বহুগুনে বেড়ে গেছে। তোমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে।”
তিনি আরও বলেন: হাসপাতাল হলো ডাক্তারদের সেকেন্ড হোম। যারা হাসপাতালে যত বেশি সময় দিবে তারা তত বেশি শিখবে। সিনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। তিনি পেশা জীবনে সকলের সফলতা কামনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর জামালুন্নেসা বলেন: সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। আন্তরিকতার সাথে রোগীর সেবা দিতে হবে। কথা ও কাজে যেন রোগীরা অসন্তুষ্ট না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. আফিকুর রহমান বলেন: আজকে তোমাদের, তোমাদের পিতা মাতার ও আমাদের একটি খুশির দিন। একটি বাচ্চা যেমন যেমন দিন, সপ্তাহ, মাস পেরিয়ে পরিপক্ব অর্জন করে; তেমনি তোমরাও দীর্ঘ শিক্ষা জীবন শেষ করে ডাক্তার হিসেবে পেশা জীবনে দক্ষতা অর্জন করতে যাচ্ছো। এই সময়টি শেখার সময়। তাই বিন্দুমাত্র অবহেলা না করে প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগাতে হবে।”