বাদির জবানবন্দির কপি না পাওয়ায় জেরা করা সম্ভব নয় জানিয়ে সময়ের আবেদন করেছেন খালেদার আইনজীবীরা। দুর্নীতির দুই মামলায় বিশেষ জজ আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার উপিস্থিতিতে শুনানির সময় এর আবেদন করা হয়। এ আবেদনের আইনগত ভিত্তি না থাকায় আবেদন অগ্রাহ্য করতে আদালতকে পরামর্শ দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। আইনগত ভিত্তি নাই বলে খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। খালেদার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা এ আবেদন নিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন।
এর আগে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা আরেকটি আবেদন করেন। সেখানে বলা হয়, বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে আদালতে বাদির জবানবন্দি নেয়া আইনত বৈধ হয়নি। সে কারণে সেই জবানবন্দি বাতিলের আবেদন জানান তারা। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে সকালে বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তর প্যারেড মাঠের বিশেষ আদালতে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন।
সকাল ১০টায় দিকে গুলশানে নিজ বাসভবন থেকে খালেদা জিয়া যাত্রা শুরু করেন বেগম জিয়া। বিশেষ আদালতে পৌঁছান ১০টা ৫০ মিনিটে।
খালেদার আদালতে আগমন উপলক্ষে সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বকশীবাজার এলাকায় জড়ো হয়েছেন। আদালত এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে তাকে জামিন প্রদান করেন আদালত।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ফাইল ফটো