পেস বোলার, স্পিনার, ব্যাটসম্যান; দক্ষতা অনুযায়ী সবাই সমান সুবিধা পাচ্ছেন উইকেট থেকে- বাংলাদেশের কোন ভেন্যুতে এমন চিত্র দেখা যায় না। কোথাও ব্যাটসম্যানদের উপর স্পিনার, আবার কোথাও স্পিনার-পেসারদের উপর ব্যাটসম্যানরা ছড়ি ঘোরান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে চট্টগ্রাম-মিরপুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। দুটি ভেন্যুই পেয়েছে আইসিসি’র ভর্ৎসনা, সঙ্গে ডিমেরিট পয়েন্ট। শাস্তির পর দেশের ভেন্যুগুলোর উইকেট স্পোর্টিং করতে উদ্যোগী হয়েছে বিসিবিও। ‘আদর্শ’ উইকেটের জন্য করা হয়েছে কিউরেটর প্যানেল।
কিউরেটদের প্যানেলে অবধারিতভাবেই থাকছেন বিসিবির প্রধান কিউরেটর গামিনী ডি সিলভা। প্যানেলে দেশি কিউরেটরদের সঙ্গে যোগ হবেন নতুন দুই ভারতীয় কিউরেটরও।
এরইমধ্যে নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর প্রভিন হিঙ্গনিকরকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। গত সপ্তাহে সাক্ষাতকার দিয়ে যান এই ভারতীয়। বোর্ডের পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানালেন, এ মাসের মধ্যেই আরও একজন ভারতীয় কিউরেটর নিয়োগ দেয়া হবে।
‘প্রথম থেকেই গ্রাউন্ডস কমিটির অধীনে আমাদের জনবল কম। টেকনিক্যাল লোকের সংখ্যা কম। সেজন্য আমরা চিন্তা করেছিলাম গামিনীর সঙ্গে আরও দুই-তিনজকে যোগ করা যায় কিনা। এরইমধ্যে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরেকজনকে ডাকা হয়েছে। তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ফাইনাল করা হবে। দুইজনই ভারতীয়।’
জালাল ইউনুস জানিয়েছেন দেশের চারটি ভেন্যুকে নির্বাচন করা হয়েছে যেখানে পেস বোলার, স্পিনার ও ব্যাটসম্যানরা সমান সুবিধা নিতে পারবেন। ভেন্যুগুলো হল- চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার ও খুলনা।
‘আমাদের পরিকল্পনা কিছু উইকেট স্পোর্টিং করার। জাতীয় লিগে কিন্তু ব্যাটসম্যানরা ডমিনেট করছে বোলারদের। তিন-চারজন করে সেঞ্চুরি করছে। এক প্রকার ফ্ল্যাট উইকেট। আমরা চাচ্ছি যেন বোলারদেরও সুবিধা থাকে এমন উইকেট। বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের জন্য। পাশাপাশি স্পিনাররাও। কেবল ব্যাটসম্যানরা যেন ছড়ি না ঘোরাতে পারে। আমরা কয়েকটা ভেন্যুকে নির্বাচন করেছি যেখানে এমন উইকেট করা হবে।’
তবে বাস্তবতাটাও মানছেন জালাল ইউনুস। রাতারাতি যে উইকেট পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না সেটিও বললেন। সেজন্য নতুন কিউরেটরদের সময় দেয়ার পক্ষে বিসিবির এ পরিচালক।
‘নতুন যারা আসছে তাদের সময় দিতে হবে। এখন যে ধরনের উইকেট আছে সেগুলো তারা দেখবে। তারপর আমরা কি ধরনের উইকেট চাচ্ছি, স্পোর্টিং উইকেট বানাতে চাচ্ছি বা আবহাওয়ার কিছু বিষয় আছে সেগুলো দেখবে। আবহাওয়া অনুযায়ী যদি উইকেট বানাই, সেটা আবার রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবো কিনা এ বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-অলোচনা হবে। যদি দুই-তিনটা ভেন্যু নির্বাচন করি, সেগুলোর কোথায় ট্রু উইকেট হবে, কোথায় ফিফটি-ফিফটি কিংবা স্পোর্টিং উইকেট; সেসবের জন্য তাদের সময়টা দিতে হবে।’