শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের কর্মী শাহরিয়ার মজুমদার আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহমদ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেয়ে শাহরিয়ারের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে শাহরিয়ার মজুমদারের ভিসেরা রিপোর্ট সংরক্ষণ করা হয়নি বলে জানান ওসি।
সিলেট টুডে ২৪ ডট কমকে রোববার দুপুর ১২টার দিকে সুহেল আহমদ জানান, পুলিশ শাহরিয়ারের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেয়েছে। প্রতিবেদনে তিনি আত্মহত্যাই করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শাহরিয়ার মজুমদারের মৃত্যুরহস্য নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠায় তার ভিসেরা রিপোর্ট চাওয়া হবে কী না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি বলেন, চিকিৎসক ভিসেরা সংরক্ষণ করেন নি। তাই ভিসেরা রিপোর্ট চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সাধারণত ময়না তদন্তকালে চিকিৎসকের সন্দেহ দেখা দিলে ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর শাবির স্থাপত্য বিভাগের ২০০৮-০৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মজুমদারের লাশ সুরমা আবাসিক এলাকার বি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৫৪ নম্বর বাসার ৪ তলায় অবস্থিত মেসের নিজ কক্ষে জানালায় বেল্ট দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হয়। তবে তার মৃত্যু নিয়ে ধোয়াশারও সৃষ্টি হয়। তার সহপাঠি এবং সিলেট গণজাগরণমঞ্চের কর্মীরা শাহরিয়ারের আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
শাবি উপাচার্য আমিনুল হক ভূইয়া, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালও শাহরিয়ারের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে অন্য কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
শাহরিয়ায়র বিভিন্ন সময়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির কাছ থেকে হুমকি পেয়ে আসছিলেন। তাঁর ঘনিষ্ট বন্ধুরা জানিয়েছিলেন শাহরিয়ার কোনো ব্যাপারে হতাশ ছিলেন না। কি কারণে শাহরিয়ার আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন তা পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।