মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করা মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব খানকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন সচিব এম এ হান্নান।
ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে এম এ হান্নান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা তার চিরকূটে লিখে রেখেছেন যে তিনি জেলা কমান্ড কাউন্সিল গঠনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এসেছিলেন, কিন্তু এখানে সেই কাজই হয় না। জেলা কমান্ড কাউন্সিল গঠনের কাজ করে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল। সুতরাং এই কাজের জন্য তিনি আমাদের কাছে এসেছেন বলে খবর সত্য নয়।
তিনি আরও বলেন, ৩২ বছরের চাকরি জীবনে তিনি কখনো কাউকে গালিও দেননি। একই সাথে সচিব বলেন, ওই চিরকূটে মুক্তিযোদ্ধা তার বাসায় যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। সচিব যে বাসায় থাকেন সেখানে যেতে হলে সিকিউরিটিকে অবগত করতে হয়। এসব কাজ তিনি অফিসে বসেই করেন। তাই বাসায় যাওয়ারও কোনো প্রশ্ন উঠে না।
আত্মহত্যা করা মুক্তিযোদ্ধাকে কখনও দেখেননি দাবি করে এম এ হান্নান আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত, দুঃখিত। উনার সাথে কে খারাপ আচরণ করেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে চিনি না বা দেখিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি আবাসিক হোটেলে আত্মহত্যা করেন মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খান। মৃত্যুর আগে তিনি ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লেখা চিঠিতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে যান।
চিঠিতে নিজেকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার দাবি করে তিনি লিখেছেন, চট্টগ্রাম উত্তর ইউনিট প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন মহলে তদবির করছিলেন। কাজ করে দেওয়ার জন্য সচিব তার কাছ থেকে মাছ, শুটকি ও নগদ টাকা পর্যন্ত উপঢৌকন নিয়েছেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন আত্মহত্যা করা মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি লিখেছেন, সচিবের কাছে গেলে সচিব তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এই অপমানের গ্লানি নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করে গেছেন।