সুন্দরবনের অন্যতম দস্যু বাহিনী ‘মাস্টার বাহিনী’র প্রধান আব্দুল কাদের মাস্টারসহ ১০ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন।
তাদের দাবি, নিজেদের উপলব্ধি এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মাস্টার বাহিনীর আত্মসমর্পণে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্থানীয়রা।
সুন্দরবনসহ সংলগ্ন সাগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস চালিয়ে এসেছে মাস্টার, সাগর, রাজু ও বেল্লাল বাহিনীসহ বিভিন্ন নামে ২০/২৫টি গ্রুপ। সুন্দরবন ও সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলে, বাওয়ালী-মাওয়ালী এবং ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, চাঁদা আদায়, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগ এসব বাহিনীর সদস্যরা।
সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ৩৫ দস্যু নিহত হয়। আটক করা হয় ছয়শ’র বেশি। মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় মংলা বন্দরের বিএফডিসি জেটিতে মাষ্টার বাহিনীর প্রধান আব্দুল কাদের মাষ্টার, সহযোগী সোহাগ আকন, সুজন, সুলতান খানসহ ১০সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তুলে দিয়ে আত্মসমর্পন করেন।
এ ঘটনাকে নজিরবিহীন বর্ণনা করে তাদেরকে স্বাগত জানিয়ে আইনগত ও পুর্নবাসন সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সুন্দরবনে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত অন্য দস্যু বাহিনীর সদস্যদেরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহবান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর সরকারের এ আহবানে যারা সাড়া দিতে ব্যর্থ হবে তাদেরকে নির্মূলে কঠোর অভিযানের কথা জানান র্যাব কর্মকর্তা।
তবে সুন্দরবনের দস্যুদের প্রথমবারের মত আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় সন্তোষ করেছে আত্মসমর্পনকারী দস্যুদের স্বজন ও জেলে-ব্যবসায়ীরা।
জলদস্যু বাহিনী মাষ্টার বাহিনীর প্রধান আব্দুল কাদের মাষ্টারসহ ১০সদস্য ৫২টি দেশী-বিদেশী অস্ত্র, ৫হাজার রাউন্ড গোলাবারুদও জমা দিয়েছে।