শুধু ভারত নয়, যে কোনো বড় দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখার আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নামবে বাংলাদেশ। টিম টাইগার্সের সামর্থ্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই প্রস্তুতি নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে একটি ম্যাচ জিতলেই এক ধাপ এগিয়ে ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ের সাত নম্বরে উঠে যাওয়ার হাতছানি। সঙ্গে আছে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্টে খেলার সম্ভাবনা বাড়ানোর সুযোগ। এসব সমীকরণ নিয়েই ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সবারই প্রত্যাশা র্যাঙ্কিংয়ে একধাপ উন্নিত হওয়া বলে মন্তব্য করেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি বলেন, যারা খেলছে তাদের জন্য লাইফ টাইম এচিভম্যান্ট হবে সেটি।
এ বিষয়টি সবাইকে কতটা আলোড়িত করছে সে বিষয়ে মাশরাফি বলেন, যারা আরো দশ বছর খেলবে তারা তো বটেই আমার মাঝেও এই আবেগ বেশি করেই কাজ করছে। যদিও এই আবেগ নিয়ন্ত্রণ খুব জরুরী, বিশেষ করে কালকের ম্যাচের আগে তা করতে পারলে সেরা খেলাটা খেলা সম্ভব হবে।
পরিসংখ্যান নিয়ে না ভেবে ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করার কথাও ঘুরে ফিরেই বললেন টিম টাইগার্স ক্যাপ্টেন। বিশ্বকাপের তিক্ত অভিজ্ঞতা এই ম্যাচে প্রভাব ফেলবে না জানিয়েও ক্রিকেট ভক্তদের দু:খবোধে না ভোগার অনুরোধ করলেন মাশরাফি।
খেলোয়ার হিসেবে চার-পাঁচ মাস আগে কি হয়েছে সেটি কেউ মনে রাখবে না উল্লেখ করে মাশরাফি বলেন, তবে মানুষের আবেগ তো আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তারা কষ্ট পেলে সেটির বহি:প্রকাশ করবেই। আমার মনে হয় ওই ঘটনা নিয়ে বেশি রিএ্যক্ট না করাটাই ভালো হবে, ভক্তদের কাছেও এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে টিম ইন্ডিয়া ক্যাপ্টেনের কন্ঠেও ঝড়েছে বাংলাদেশে মুগ্ধতার কথা। এক দিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে এখন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বলে সমীহ প্রকাশ করে ধোনী বলেন, মাঠে তাদের দারুণ ‘ফাইটিং অ্যাটিচিউড’ যেকোন দলের জন্যই বিপদজনক।
নিজেদের ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলার আকাঙ্খার কথা জানিয়ে ধোনী বলেন, স্টেডিয়ামে লোকজন আসবে হোম সাইডকে সাপোর্ট করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। টিম-ইন্ডিয়া এসব নিয়ে ভাবছে না। নিজেদের দ্বায়িত্ব নিজেরা ঠিকঠাক করতে পারলেই সিরিজটা আমাদের হবে এটা আমার বিশ্বাস।
বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে পূর্ণশক্তি নিয়েই নামবে ভারত।