চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আত্মপ্রেম বাড়িয়ে দেয় আত্মবিশ্বাস

আত্মপ্রেম মানুষকে আত্মপ্রত্যয়ী করে তুলতে পারে, গবেষকরা তেমনই দাবি করছেন। কুইন্স ইউনিভারসিটির একদল গবেষক প্রায় ৭শ’ মানুষের ব্যক্তিত্বের উপর গবেষণা চালিয়ে তারা এমনটি জানিয়েছেন।

গবেষকরা বলছেন, এক ধরণের আত্মপ্রেম আছে যেটা ব্যক্তির মানসিক দৃঢ়তা বাড়ায়। যেটা মানুষকে হতাশাগ্রস্থ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করে। এরা নিজেকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে। এতে তাদেরকে মানসিকভাবে কম ধকল (স্ট্রেস) পোহাতে হয়।

গবেষণা প্রবন্ধ লেখকদের একজন ড. কোসতাস পাবাগোরগ্যিও বলেছেন, আত্মপ্রেম (নার্সিজম) দুই ধরণের; আড়ম্বরপূর্ণ এবং অরক্ষিত। অরক্ষিত মানসিকতার যারা তারা বেশী রক্ষণশীল। অন্যের আচরণের প্রতি এরা বেশি বিরূপ হয়ে থাকে। অন্যদিকে আড়ম্বরপূর্ণ মানসিকতার ব্যক্তিরা নিজেকে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে এবং নিজের যোগ্যতা নিয়ে মগ্ন থাকে।

ড. কোসতাস পাবাগোরগ্যিও আরো বলেছেন, আত্মপ্রেম মূলত ব্যক্তির নেতিবাচক চিন্তাপ্রক্রিয়ার অংশ। এগুলো মূলত প্রতারণামূলক মনোভাব, ধর্ষকামীতা এবং মানসিক অসুস্থতার সমন্বয়।

এই গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে ‘পারসোনালিটি এন্ড ইনডিভিজুয়াল ডিফারেন্স এন্ড ইউরোপিয়ান সাইকিয়াট্রি’ জার্নালে।
আত্মপ্রেমময় ব্যক্তিত্বকে বিশ্লেষণ করা হয় এভাবে- এ ধরণের মানসিকতার মানুষ বিশ্বাস করে, অন্য যে কারো চাইতে তারা বিশেষ এবং আলাদা। তাদেরকে অন্যরা গুরুত্ব না দিলে বা কম গুরুত্ব দিলে এরা বিপর্যস্ত অনুভব করে। আত্মপ্রেমীরা আবার কম আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন মানুষ হতে পারে। এরা মানসিকভাবে অরক্ষিত বোধ করে।

ড. কোসতাস পাবাগোরগ্যিও মনে করেন, তাদের এই গবেষণা হতাশাগ্রস্ত সমাজের লক্ষণগুলো বিশ্লেষণে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, নার্সিজিমের সবগুলো বৈশিষ্ট্য সমাজের জন্য উপকারী না হলেও কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য ইতিবাচক প্রভাব বয়ে আনতে পারে।

ড. কোসতাস পাবাগোরগ্যিও বিশ্বাস করেন, আত্মপ্রেম বিষয়টিকে ভাল বা খারাপ বলে বিশেষায়িত করার সুযোগ নাই। বরং মানুষের আচরণ এবং তার বিবর্তন বিশ্লেষণে সহায়ক মাপকাঠি বলা যায়।

ছবি: বিদেশী পত্রিকা