বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পেজের জন্য চ্যাটবট চালু করা হয়েছিল। আগে থেকে অ্যালগরিদমে যুক্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রিপ্লাই দিতে সক্ষম এ চ্যাটবটগুলো। এর বাইরে কোনো প্রশ্ন করা হলেই আটকে যায় চ্যাটবট।
আর তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ চ্যাটবটকে সামাজিকতার প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভাবছে ফেসবুক। একজন ব্যবহারকারীর সাথে যেন ছোটখাটো আড্ডা দিতে পারে, এমনটাই লক্ষ্য আপাতত। এরই মধ্যে ফেসবুকের গবেষকরা কিছু বিষয় চিহ্নিত করেছেন যা আগের থেকে আরও উন্নত করতে হবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য।
ফেসবুক চ্যাটবটের যে কয়টি সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো একজন ব্যবহারকারীর সাথে আগে কী কথা হয়েছে, তা একেবারেই মনে থাকে না কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার এই প্রোগ্রামের। এছাড়া একই ব্যবহারকারীকেও পরে আর শনাক্ত করতে পারে না।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য ফেসবুকের গবেষকরা এক লাখ ৬০ হাজার ডায়লগ সমৃদ্ধ একটি ডেটাসেট তৈরি করেছেন। এর মাধ্যমে চ্যাটবটকে শেখানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর, অনেকটা মানুষের মতো করেই।
তবে এর মাধ্যমে ফেসবুকের এ চ্যাটবট কতটা সামাজিক হতে পারবে তা নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ প্রশ্নের উত্তরের সীমাবদ্ধতা থেকেই যাচ্ছে।