সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজারে বাংলাদেশকমার্স ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় আটক বোরহানের বাসা থেকে জামায়াত শিবিরের লিফলেট ও জিহাদিবই উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও হত্যা মামলা করেছেব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
সাভারের আশুলিয়া থানার সহকারি পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, আপাতত বোরহানের বাসায় নাশকতামূলক কোনো উপাদান পাওয়া না গেলেও জামায়াত শিবিরের লিফলেট ও জিহাদি বই পাওয়া গেছে। বোরহান এর আগে মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো তাও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আটক ডাকাত বোরহান জামায়াত কিংবা কোন ধরনের জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার না করলেও সে মাদ্রাসার ছাত্র ছিল তা স্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ব্যাংক ডাকাতির সময় ডাকাতদের গুলিতে ব্যাংক ম্যানেজারসহ ৭ জননিহত হন। আহত হন ১৪জন। পরে গণপিটুনিতে এক ডাকাতের মৃত্যু হয়,আহত হয় আরেক ডাকাত বোরহান।
ডাকাতির ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে মোটর সাইকেল আরোহী দুই ডাকাতকে ধরে ফেলে।গণপিটুনিতে তাদের একজন মারা যায়,আহত হয় আরেক ডাকাত।
ধরা পড়া ডাকাতদের কাছ থেকে প্রায় ৭ লাখ টাকা পাওয়া যায়।ব্যাংক থেকে ওই পরিমাণ টাকাই লুট হয়েছিলো বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
ব্যাংকশাখাটির ভেতরেওঅবিস্ফোরিত বোমা পাওয়া যায়। পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজিখন্দকার গোলামফারুকজানান,নাশকতাঘটানোরউদ্দেশ্যেই এইডাকাতিবলেপ্রাথমিকভাবে সন্দেহকরাহচ্ছে।
গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি কমিশনার ওবায়দুল হক বলেন, আপাত:দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে অস্ত্রধারীরা হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যেই ব্যাংকে এসেছিলো। তবে শুরুতে ডাকাতির ঘটনাহিসেবে বিবেচনা করে তারা তদন্ত শুরু করেছেন।
গোয়েন্দারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে গেছেন।তাতে দেখা গেছে,তিন জন ব্যাংকটিতে ঢুকেই গুলি ছুঁড়তে শুরুকরে।একারণে হত্যাকাণ্ডই মূলটার্গেট ছিলো বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন।
একসময়ের রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাংলাদেশ কমার্সবাংকএখনবেসরকারি মালিকানায় থাকলেওসরকারের কিছুশেয়ারএখনওআছে।
ডাকাতের হামলায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকে এক লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।