বর্ণবাদী মন্তব্যের কারণে তিনজনকে আটক করে ছেড়ে দেওয়া হলেও বিষয়টির সমাধানে সন্তোষ প্রকাশ করেছে সাউথ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। নিজ দেশের গণমাধ্যমকে দলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ম্যাচ এবং ভেন্যু নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা হয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে কয়েকজন দর্শক বর্ণবাদী মন্তব্য করেছে বলে সাউথ আফ্রিকা ক্রিকেট দল ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ করলে দ্রুত তিনি ভেন্যু নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সেসময় তিনজনকে আটকও করে পুলিশ। তবে তাদের দু’জন শিশু হওয়ায় বিষয়টির গভীরতা বুঝিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্য একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক হলেও ভেন্যু নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ না করায় তাকেও পুলিশ ছেড়ে দেয়। অন্য কয়েকজনকে অবশ্য আটক করতে পারেনি পুলিশ।
নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সাউথ আফ্রিকা দলের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সমাধান হওয়ায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে দর্শকদের সতর্ক করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার কয়েকজন দর্শকের বর্ণবাদী বিচ্ছিন্ন মন্তব্যের পর সাউথ আফ্রিকা দলের পক্ষ থেকে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানানো হয়। ম্যাচ রেফারি পরে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
চ্যানেল আই অনলাইনে’র কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বিসিবি’র সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট মেজর (অবঃ) হোসেন ইমাম। ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী রুবেল বলেন, বাংলাদেশ এবং চট্টগ্রামের দর্শকরা বরাবরই ভালো। তবে তিনি শুনেছেন, প্র্যাকটিসের সময় কয়েকজন দর্শক ডেল স্টেইন এবং তার সঙ্গে থাকা দুই-একজন কালো সাউথ আফ্রিকান খেলোয়াড়কে উদ্দেশ্য করে অনাকাঙ্খিত দু’একটি মন্তব্য করেছেন।
ম্যাচ রেফারির অভিযোগের পর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে একাধিকবার মাইকে ঘোষণা দিয়ে দর্শকদের সতর্ক করা হয়। বলা হয়, বর্ণবাদী কোনো মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়, এরকম অপরাধ করলে মাঠে আজীবন নিষিদ্ধসহ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দু’একজন দর্শকের এরকম মন্তব্যের কারণে বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে থেকেও নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।