বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে রোহিঙ্গাদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। সহমর্মিতা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আজ আমরা সবাই রোহিঙ্গা।’
সোমবার ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে করা টুইটে এ কথা বলেন তিনি।
টুইটবার্তায় জিম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সাহসিকতায় আমি চরমভাবে মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত। তারা ন্যায়বিচার চায় এবং নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চায়। আমরা এদিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি না। আমরা তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। আজ আমরা সবাই রোহিঙ্গা।’
I am extremely humbled and moved by the courage of the #Rohingya. We cannot turn our heads away. We stand in solidarity — today we are all Rohingya pic.twitter.com/ihIeyzJJjr
— Jim Yong Kim (@JimYongKim) July 2, 2018
এর ৩ ঘণ্টা পর পোস্ট করা আরেকটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সঙ্গে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা নজিরবিহীন। মানবিক ও উন্নয়ন প্রতিক্রিয়ার মধ্যকার ফাঁকগুলো দূর করার মধ্য দিয়ে আমরা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীদের আরও ভালো সহায়তা দিতে পারব।’
এর আগে রোহিঙ্গারা ন্যায়বিচার এবং নিরাপদে ঘরে ফিরতে চায় মন্তব্য করে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে সম্প্রতি পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছে সেখানে হত্যা ও ধর্ষণের যে সংখ্যার কথা শুনেছি তা অকল্পনীয়।’
Our cooperation with @UN agencies is unprecedented. By filling the gap between humanitarian and development response, we are able to provide better support to refugees and host communities. pic.twitter.com/f19QfvQMdp
— Jim Yong Kim (@JimYongKim) July 2, 2018
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সোমবার এক টুইটে এ কথা বলেন তিনি।
সকালে ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার আগেও জাতিসংঘের মহাসচিব আরেকটি টুইটে বলেন, রোহিঙ্গারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বঞ্চিত ও নিগৃহীত একটি জনগোষ্ঠী।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট একটি মানবিক ও মানবাধিকারে ক্ষেত্রে দুঃস্বপ্নের সংকট। বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের আশ্রয় দিয়ে ঔদার্য্য প্রদর্শনের জন্য আমি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য জাতিসংঘের প্রধান বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমকে সঙ্গে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সোমবার সকাল পৌনে ৯ টায় কক্সবাজার পৌঁছান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও সফররত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি তাদের সঙ্গে ছিলেন।