আজারবাইজানের সীমান্তের ভেতর প্রতিবেশী আর্মেনিয়ার জাতিগত গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন সংঘাতময় পার্বত্য নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে এই দুটি দেশের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন সেনা নিহত এবং বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোকজনও মারা গেছেন বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে। ’৮০ এর দশক ধরে চলমান এই বৈরীতায় গত দুই যুগের মধ্যে সাম্প্রতিক ঘটনাকে নৃশংসতম বলে উল্লেখ করেছে আর্মেনিয়া।
১৮ জন জাতিগতভাবে আর্মেনিয়ার সেনা এই যুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আর্মেনিয়া। অপরদিকে আজারবাইজানের দাবি তাদের ১২ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন। উভয়পক্ষেই অসমর্থিত সূত্রে বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মারাত্মকভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘণের এই ঘটনায় গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতামূলক সংস্থা ওএসসিই।
১৯৯৪ সালে শেষ হওয়া যুদ্ধের পর থেকেই আর্মেনিয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা নাগারনো কারাবাখ অঞ্চলে সংঘাতে জড়িত উভয় পক্ষকেই অস্ত্র সরবরাহ করে রাশিয়া। রাশিয়া দেশ দুটিকে অতিদ্রুত যুদ্ধবিরতির আহবানসহ ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।
১৯৮০ এর দশক থেকে বিবাদ শুরু হওয়া দুই পক্ষ ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। ১৯৯৪ সালে যুদ্ধবিরতিতে পৌছানোর আগে এতে ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তখন থেকেই আর্মেনিয়ান সামরিক বাহিনী এবং আর্থিক সহায়তাতে কার্যক্রম চালাচ্ছিল অঞ্চলটি। কিন্তু নিয়মিতই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তো এখানে।