চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আজব সিপিডির গুজব কাহিনী

সাম্প্রতিক বছরে দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা হারিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি’র।

গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় একটি হোটেলে ‘‘এমনতর ব্যাংকিং খাত নিয়ে আমরা কি করবো?’’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত হয় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি’র সংলাপে এই ব্যাংকিং খাতের অবনতির কথা তুলে ধরা হয়।

তবে বিশিষ্টজনদের মূল্যায়ন, ধসে যাওয়ার মতো অবস্থা হয় নাই ব্যাংকিং খাতে। তবে গত ১০ বছরে এককভাবে সবচেয়ে অবনতি হয়েছে এখানে।

সিপিডি’র সংলাপে আগামী সরকারের জন্য তাদের পরামর্শ, রাজনীতিকদের জন্য লুটপাটের অন্য খাত নির্দিষ্ট করে দেয়া, ব্যাংক নয়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেখ হাসিনার সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেবপ্রিয় মহাশয়রা একটা আজগুবি গল্প জাতির সামনে উপস্থাপন করে গেছেন বলে মন্তব্য  করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।

আশরাফুল আলম খোকন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেন:

‘‘আজব সিপিডির গুজব কাহিনী

গত দশ বছরে দেশে ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক প্রসার ঘটেছে। আর তা হয়েছে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নতির জন্যই। চরম শত্রুরাও তা স্বীকার করে।

কিন্তু বিএনপি-জামাত, তাদের মদদপুষ্ট বুদ্ধিজীবীরা এবং বিদ্বেষপন্থী (পড়ুন বিদেশপন্থী) এনজিও সিপিডি বলছে দেশের ব্যাংক থেকে নাকি সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। কিভাবে হয়েছে, কই গেছে তা তারা বিস্তারিত বলেনি। নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেবপ্রিয় মহাশয়রা একটা আজগুবি গল্প জাতির সামনে উপস্থাপন করে গেছেন।

যেকোনো দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের ক্ষেত্রে ব্যাংকের ভূমিকা অপরিহার্য। গত দশ বছরে ব্যাংক থেকে সাড়ে ৮ লক্ষ কোটি টাকা ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়া হয়েছে, যা একটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিস্তিতে ঋণ ফেরত নেয়া – এটাও চলমান প্রক্রিয়া। সবাই যে সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করে তা কিন্তু না। কিছু ব্যতিক্রমও ঘটে – এটাও নতুন কিছু না। যেমন, যেসব প্রার্থী এইবার ঋণখেলাপি থাকার কারণে নির্বাচন করতে পারেনি এরমধ্যে বিএনপি-জামাতেরই ৮০ শতাংশ।

যা বলছিলাম, গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়মিত কিস্তি উত্তোলন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেখানে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার কিস্তি অনিয়মিত। এমন না যে তারা টাকা মেরে দিয়ে পালিয়ে গেছে অথবা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।

যদি মোট ঋণ সাড়ে ৮ লক্ষ কোটি টাকার সাথে তুলনা করি তাহলে দেখা যাচ্ছে ৯৭.৫ শতাংশ নিয়মিত, অনিয়িমিত মাত্র ২.৫ শতাংশ টাকার কিস্তি উত্তোলন। কিন্তু বিএনপি-জামাতপন্থী সুশীল এবং সিপিডি এমনভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করছে মনে হচ্ছে লোকজন এসে ব্যাংকের বোল্ট খুলে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা চুরি/ডাকাতি করে নিয়ে গেছে।

তাদের জানা উচিত মন্দ ঋণ মানে কিন্তু লুটপাট না, এটাও চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সমাধান হয়। বাংলা ভাষায় অনেকগুলো শব্দ আছে। যেমন :- গায়েব, লোপাট, তসরুফ, খেলাপি – এইগুলোর পার্থক্য না বুঝেই গুলিয়ে ফেললেই জাতি বিভ্রান্ত হয়।’