লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমেই দেশের আগামী নেতৃত্ব গড়ে উঠবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশায় ব্যক্ত হল, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীদিনে বিশ্ব অঙ্গনে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশকে।
অংশগ্রহণকারীর সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ তো বটেই, ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট এটি। বালক আর বালিকা, এ দুই ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীর যে সংখ্যাটা এবার ছিল তা ২২ লাখ ৩৫ হাজার ৪১৪!
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দুপুরের এই আয়োজনে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের নবম আসরের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয় সিলেটের জৈন্তাপুরের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তারা নীলফামারীর দক্ষিণ কানিয়ালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ১ গোলে হারায়।
পরে একই মাঠে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের অষ্টম আসরের ফাইনালে লালমনিরহাট পাটগ্রামের টেপুরগাড়ী বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একমাত্র গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ময়মনসিংহের নান্দাইলের পাঁচরুখী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মাঠে বসে বালিকাদের ফাইনাল ম্যাচ দেখার পর পুরস্কার মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিজয়ীদের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী সব দলকে অভিনন্দন জানিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এই টুর্নামেন্ট থেকেই আগামীর দক্ষ ক্রীড়াবিদ বেরিয়ে আসবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে বলেও আশা করেন প্রধানমন্ত্রী। জানালেন, এই আসরের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্পের পরিকল্পনা করছে সরকার।
পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ট্রফির পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দল তিন লাখ, রানার্সআপ দুই লাখ ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দল পেয়েছে এক লাখ টাকা।