গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের গুলিতে শিশু আহতের ঘটনার একদিন পর আজ শনিবার সুন্দরগঞ্জ থানায় লাইসেন্সকৃত পিস্তল ও শটগান জমা দিয়েছেন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। সুন্দরগঞ্জ থানায় এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে আহত সৌরভ মিয়ার বাবা ।
শুক্রবার ভোরে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ছোঁড়া গুলিতে সৌরভ মিয়া নামে ৪র্থ শ্রেণীর শিশু দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সৌরভের পরিবারের অভিযোগ, এমপি নিজেই গুলি করেছেন। শুধু তাই নয়, আহত শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে এমপির লোকজন বাধাও দেয়। তবে, এই ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো এমপির বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাচ্চার বাবা চিকিৎসা নিয়ে হয়তো ব্যস্ত আছে, হয়তো পরে এখানে আসবে। মামলা দিলে, মামলা নিবো। এলাকা আপাতত শান্ত আছে। অস্ত্র ফেরত নেওয়ার জন্য আমরা জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি।
ঘটনার পর সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের অগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলসহ দুটি অস্ত্র জব্দের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ জানান, অস্ত্র ইস্যু করা হয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে। এর অপব্যবহার হলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটি বাতিল করতে পারেন। সেই ক্ষমতা উনাকে দেওয়া হয়েছে। সেটি যদি প্রযোজ্য হয় তাহলে প্রয়োগ করা হতে পারে।
শিশুকে গুলিতে আহত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিও জানায় তারা।
গাইবান্ধার পৌর মেয়র আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এটা আসলেই আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। একজন অভিভাবক হয়ে তিনি যদি আমাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে এই লজ্জা আমরা রাখবো কোথায়?
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য লিটন জানান, সুন্দরগঞ্জ জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা। তার গাড়িতে হামলা হয়েছিলো। তিনি নিজেকে রক্ষায় ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছিলেন।